হাজি সাহেবানদের যেসব প্রস্তুতি থাকা জরুরি (পর্ব-১)


প্রকাশিত: ০৬:৫৭ এএম, ০৩ আগস্ট ২০১৫
ফাইল ছবি

হজ প্রত্যেক মুসলমানের জীবনের সর্বোচ্চ আশা-আকাংখার কেন্দ্রবিন্দু। মুসলমান মাত্রই জীবনে একবার হলেও হজ করার আশাে পোষণ করে থাকেন। অনেক হাজি সাহেবান হজের অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম না মানার কারণে হজে যেতে ব্যর্থ হয়। দালাল চক্রের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়। হজে গেলেও মক্কা ও মদিনায় নানা রকম বিড়ম্বনার শিকার হয়। তাই প্রত্যেক হাজি সাহেবানদের কিছু  বিষয় জানা আবশ্যক। দেশে এবং মক্কা-মদিনায় কি কি করা প্রয়োজন জাগো নিউজের মাধ্যমে সব হাজি সাহেবানদের জন্য জরুরি কয়েকটি বিষয় পর্ব আকারে তুলে ধরা হলো :

প্রথম পর্ব
হজে রওনা হওয়ার পূর্বে করণীয়-
১. যারা হজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন হোক সরকারিভাবে বা বেসরকারিভাবে, তাদেরকে অবশ্যই হজ এজেন্সির তথা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হবে।

২. বেসরকারিভাবে যারা যাবেন,  মক্কা-মদিনায় থাকার কি ব্যবস্থা হয়েছে, বায়তুল্লাহ থেকে বাসস্থান কতদূর ইত্যাদি বিষয়ে এখনই খোঁজ খবর নিয়ে রাখা।

৩. হাজি সাহেবানদের সঙ্গে কোনো মোয়াল্লেম যাবে কিনা, যারা হজের বিষয়াদি সম্পর্কে ধারণা দিবেন। কোথায় কোথায় হজের কার্যক্রমগুলো সম্পন্ন করতে সে বিষয়ে ধারণা দিবেন। এ ব্যাপারেও জেনে নেয়া যে, মুয়াল্লেম যিনি যাবে তিনি  আলেম কিনা। অনেক মুয়াল্লেম আলেম না হওয়ার কারণে হাজি সাহেবানদের সঠিকভাবে হজের কার্যক্রম সম্পন্ন করাতে পারেন না।

৪. হজে যাওয়ার আগেই খুব ভালোভাবে হজের নিয়ম কানুন শিখে নেয়া। কেন না হজে যাওয়ার নিয়ত করা থেকেই আপনি আল্লাহর মেহমান। তাই আপনার আশেপাশে কোথায় হজ প্রশিক্ষণ চলে তা জেনে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগাযোগ করা। যাতে মাসআলা মাসায়েলগুলো ভালোভাবে জেনে নেয়া যায় তার চেষ্টা করা।

৫. হজের নিয়ম কানুনের ব্যাপারে বাজারে অনেক বই-পুস্তক পাওয়া যায়, সেগুলো সংগ্রহ করে ভালোভাবে পড়ে নেয়া। হজ এজেন্সি এবং সরকারিভাবেও বই সরবরাহ করা হয়, তা সংগ্রহ করা।

৬. আল্লাহর রাস্তায় বের হবেন সে রকম মন-মানসিকতা তৈরি করতে শুরু করা। অনেক হাজি বয়স্ক তাই এখনকার পড়াশুনা তালিম মনে নাও থাকতে পারে বিধায় হজের বই বা গাইড নিজের সংরক্ষণে রাখা।

৭. হজে রওনা হওয়ার পূর্বে আপনার পরিচয়পত্র, মোয়াল্লেম কার্ড, হোটেলের কার্ড, কব্জি বেল্ট সংগ্রহ করা।

৮. বিমানে ওঠার আগে থেকেই আপনার হ্যান্ড ব্যাগে পাতলা জায়নামাজ এবং স্প্রে করা যায় এমন পানির বোতল সবসময় সঙ্গে রাখা, যাতে অজু করার জায়গা না থাকলে স্প্রে করে হাতের তালুতে পানি নিয়ে অযুর ফরজগুলো আদায় করা যায়।

৯. লাগেজ বা ব্যাগের গাঁয়ে বাংলাদেশের পতাকার ছাপ, বাংলা, ইংরেজি ও আরবিতে নিজের নাম, পাসপোর্ট নম্বর, মোয়াল্লেম নম্বর লিখা। রশি, টেপ, মার্কার পেন, সুঁই-সুতা সঙ্গে রাখা।

১০. প্রয়োজনীয় ফোন বা মোবাইল নাম্বারগুলো সংগ্রহ করে রাখা। যাতে সমস্যা বা বিপদে-আপদে সহযোগিতা নেয়া যায়। তা দেশে হোক আর মক্কা-মদিনায় হোক। ছোট একটি ফোন বুকে লিখে রাখা, যা হাত বেল্ট বা কোমর বেল্টে বহন করা যায়।

১১. এখন থেকেই হাটা-হাটি ও নিয়মিত ব্যয়ামের মাধ্যমে নিজের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা সুদৃঢ় করার চেষ্টা করা।

সুতরাং সময় বেশি বাকি নেই আর কিছু দিন পরই হজ ফ্লাইট শুরু হবে। কোনো সমস্যা না হলে আগামি ৭ সেপ্টেম্বর থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। হাজি সাহেবানগণ যাতেসুন্দর ভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন। আল্লাহপাক সকল মুসলমানের হজ যেন কবুল করেন এ কামনা করি। আল্লাহ সবাইকে প্রয়োজনীয় বিষয়াদিগুলো সুন্দরভাবে সমাধান করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

জাগো নিউজ ২৪ ডটকমের সঙ্গে থাকুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামী আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।

এমএমএস/এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।