কুরআন তেলাওয়াতের সময় প্রিয়নবি যা করতেন

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:২২ পিএম, ৩০ মে ২০১৮

কুরআন তেলাওয়াত করা সর্বোত্তম ইবাদত। আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকের সুরা মুজাম্মিলের শুরুতে তা সুস্পষ্ট ভাষায় বর্ণনা করেন, ‘হে বস্ত্রাবৃত! রাত্রি জাগরণ কর, কিছু অংশ ব্যতিত। অর্ধরাত কিংবা তার চেয়ে অল্প অথবা তার চেয়ে বেশি। আর কুরআন তেলাওয়াত করুন ধীরে ধীরে, স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে।’ (সুরা মুজাম্মিল : আয়াত ১-৪)

আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় হাবিবকে রাতের কিছু সময় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ নির্দেশ মুসলিম উম্মাহর জন্যও প্রযোজ্য ও কল্যাণের। এ কারণেই হাদিসে পাকে কুরআন তেলাওয়াতকে ‘আফদালুল ইবাদাত বা সর্বোত্তম ইবাদত’ বলা হয়েছে।

প্রতি রমজানে হজরত জিবরিল আলাইহিস সালাম প্রিয়নবিকে পুরো কুরআন তেলাওয়াত করে শোনাতেন। আবার প্রিয়নবিও প্রত্যেক রমজানে জিবরিল আলাইহিস সালামকে কুরআন তেলাওয়াত করে শোনাতেন।

কুরআন তেলাওয়াতের সময় প্রিয়নবির কাজ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআন তেলাওয়াতের সময় আল্লাহর আদেশ-নিষেধ সম্পর্কিত সব বিষয়ের ওপর আমল করতেন। হাদিসে পাকে সে বর্ণনা ওঠে এসেছে-

হজরত হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘একবার আমি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে রাতে নামাজ আদায় করছিলাম। তিনি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কুরআন তেলাওয়াতের পদ্ধতি বর্ণনা দিয়ে বলেন-

উল্লেখিত হাদিসের আলোকে পবিত্র কুরআনুল কারিম তেলাওয়াত করা উম্মতের মুহাম্মাদির সবার জন্যই জরুরি। তাতে কুরআনুল কারিমের তেলাওয়াতের নির্দেশ ও হক আদায় হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন তেলাওয়াতের সময় আয়াতে ঘোষিত তাসবিহ আদায়, অনুগ্রহ কামনা, রহমত ও বরকত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আবার কুরআনের আয়াতে ঘোষিত আজাব ও শাস্তি থেকে মাগফেরাত লাভ এবং জাহান্নামের আগুণ থেকে নাজাত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।