দ্রব্য-সামগ্রী দানের ব্যাপারে আল্লাহর নির্দেশ

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৮

দান অতি উত্তম ইবাদত। কুরআন-হাদিসে দানকে উত্তম ইবাদত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আবার দানের অন্যতম ইবাদত হিসেবে সম্পদশালীদের জন্য জাকাত আদায় করাকে ফরজ করেছেন।

দান বলতে জাকাত হোক আর সাধারণ সাদকা বা সহযোগিতা হোক; এ সব দানে উত্তম জিনিস ব্যয় করার নির্দেশ প্রদান করেছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। কোনো ভাবে জাকাত প্রদানে বা খাদ্য বস্তু সামগ্রী দানে কোনো ধরনের নিম্ন মানের জিনিস দান করতে নিরুৎসাহিত করেছেন। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-

jagonews24

আয়াতের অনুবাদ

jagonews24

আয়াত পরিচি.তি ও নাজিলের কারণ
সুরা বাকারার ২৬৭নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে তাঁর পথে সবোত্তম জিনিস দান করতে নির্দেশ প্রদান করেছেন। দানের ক্ষেত্রে মন্দ বা নিষ্ঠা জিনিস যেন দান করে সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।

মহান আল্লাহ তাআলা সর্বোত্তম গুণের অধিকারী, এ কথা সবারই জানা। তাই তিনি ইবাদত-বন্দেগির ক্ষেত্রে সর্বোত্তম কথা ও কাজকে পছন্দ করেন। তাঁর পথে সর্বোত্তম জিনিস ব্যয় করাকে বেশি পছন্দ করেন। আর কুরআনে পাকে তিনি বান্দাকে সে নির্দেশই প্রদান করেছেন।

আলোচ্য আয়াত নাজিল প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, মদিনার কতিপয় আনসার; যারা খেজুর বাগানের মালিক ছিল। কোনো কোনো সময় তারা কম মূল্যের নিম্ন মানের খেজুরের ছড়া মসজিদে এনে ঝুলিয়ে রাখত। আসহাবে সুফফার সাহাবাদের যেহেতু জীবিকা নির্বাহের কোনো ব্যবস্থা ছিল না, তাই যখন তাদের ক্ষুধা লাগত তখন উক্ত খেজুরের ছড়া থেকে খেজুর খেয়ে নিত।’ এ সম্পর্কে উল্লেখিত আয়াত নাজিল হয়।

মনে রাখতে হবে, দান-সাদকা, জাকাত, তথা ইবাদত কবুল হওয়া যেমন মানুষের অন্তরের নিয়তের ওপর নির্ভরশীল; তাই এমন কোনো জিনিস দান করা যাবে না যে জিনিস দ্বারা দান-সাদকা বা জাকাত আদায় করলে মানুষের মনে কষ্ট আসতে পারে। তাই আল্লাহর দেয়া জীবিকা হতে সর্বোত্তম জিনিস উত্তম নিয়তে দান করা জরুরি।

পড়ুন- সুরা বাকারার ২৬৬ নং আয়াত

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিজেদের সম্পদ বা মাল থেকে সর্বোত্তম জিনিস, দ্রব্য-সামগ্রী দান করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর বিধি-বিধান পালনে তাঁর হুকুম যথাযথ মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।