ইবাদতের সুস্বাদু ফল ‘সবর’
সবর বা ধৈর্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে অনেক আয়াত নাজিল করেছেন। প্রিয়নবির হাদিসে পাকে রয়েছে অসংখ্য উপদেশ। সবর থেকে বিরত ব্যক্তিরাও ক্ষতিগ্রস্ত বলে সতর্ক করা হয়েছে। সবর বা ধৈর্যকে আল্লাহ তআলা ইবাদতের সুস্বাদু ফল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাইতো সবরকারী ব্যক্তিকে সফলকাম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
হাদিসে পাকে হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সবর ৩ ধরনের।
>> বিপদাপদের সময় সবর অবলম্বন;
>> পাপাচার পরিহার করতে সবর অবলম্বন; এবং
>> আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ পালনে সবর অবলম্বন করা।
সবর যে ইবাদতের সুস্বাদু নেয়ামত; তা সাহাবায়ে কেরামের বক্তব্য থেকে বুঝা যায়। সবরের তাৎপর্য ও প্রয়োজনীয় সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামগণ বলেছেন-
> হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘সবর বা ধৈর্য হলো ঈমানের রহস্য। যার মধ্যে সবর নেই, তার মধ্যে ঈমানও নেই।’ বাস্তবেই শিরকমুক্ত ঈমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে অবশ্যই সবর বা ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
> হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু সবরকে দুই ভাগে ভাগ করে বলেন-
>> বিপদের সময় সবর অবলম্বন করা উত্তম; আর
>>পাপাচার পরিহার করার সময় সবর করা। বিপদের সময় ও পাপাচার পরিত্যাগের সবর অবলম্বন অনেক কষ্টকর। আর এ কারণেই এ সবর উত্তম।
আল্লাহ তাআলার তরফ থেকেই মানুষের সব কিছু (সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ইত্যাদি) হয়ে থাকে। এ কথা বিশ্বাস করে সাওয়াবের তালাশ করা; আর বিপদাপদের জন্যেও আল্লাহ পাকের কাছে রয়েছে সাওয়াব।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার প্রতিটি কাজে সবর বা ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন। ধৈর্য ধারণের মাধ্যমে ঈমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আরআইপি