বিদায় বেলায় অশ্রু বিসর্জন
দেখতে দেখতে শেষ হয়ে এল অফুরন্ত রহমত ও বরকতের মাস রমজান। আর মাত্র কয়েকটা দিন ও রাত বাকি; যাতে আমরা ইবাদত করার সুযোগ পেতে পারি। রমজানের কতটুকু হক আদায় করতে সক্ষম হয়েছি জানিনা। কারো কারো জন্য হয়ত বা জীবনের শেষ রমজানও হতে পারে এটি। তাই আল্লাহর নিকট অতীব ছোট হয়ে খালিস অন্তরে তাওবা ও ইসতিগফার করেই কাটিয়ে দিতে হবে বাকি দিন ও রাতগুলো।
যার মাহে রমজানে ভাল কাজ বেশি করা সম্ভব হয়েছে; আল্লাহর ভয়ে যাদের অন্তর কেঁপেছে চোখের অশ্রু ঝরেছে; তাদের উচিত আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং সমাপনী রোজাগুলোতে সৎকর্ম বেশি করা। তাই রামজানের সমাপ্তিলগ্নে যে সব কাজগুলো করা প্রয়োজন। তার উল্লেখযোগ্য কিছু করণীয় দিক রয়েছে তা হল-
১. প্রতি ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে জামায়াতের সঙ্গে আদায় করা; জামায়াতে নামাজের ব্যাপারে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিশেষ নির্দেশ এসেছে।
২. সাধ্যমতো অধিক পরিমাণে দান-সাদকা করে যাওয়া। কেননা আল্লাহ দান-সাদকাকারীদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিদান সংরক্ষণ করে রেখেছেন; তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা-মার্জনা এবং সুমহান প্রতিদান।
৩. পবিত্র কুরআন বুঝে পড়ার চেষ্টা করা এবং মেনে চলতে দৃঢ় প্রত্যয় রাখা। যেহেতু রমজান কুরআন নাজিলের মাস সেহেতু ব্যক্তি, সমাজ নির্বিশেষে মানব জীবনের সর্বস্তরে পরিপূর্ণ শান্তি নিশ্চিত করনার্থেই এই কুরআন নাজিল হয়েছে।
৪. মাহে রমজানের অন্যতম শিক্ষা পরনিন্দা (গীবত), চোগলখোরি, অশ্লীলতা, পেহায়াপনা ইত্যাদি পরিহার করা; অন্যথায় রমজান জুড়ে পানাহার ত্যাগ শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতাই হবে। সিয়াম সাধনার প্রকৃত স্বাদ অর্জন হবে না।
৫. বিশেষ করে এই কয়টি দিন গভীর ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করতে হবে। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দশকে আরামের বিছানা গুটিয়ে রেখে, কোমরে কাপড় বাঁধতেন, পরিবারের অপরাপর সদস্যদের ও জাগ্রত রাখতেন এবং সারা রাত নির্ঘুম অবস্থায় ইবাদত বন্দেগীতে কাটিয়ে দিতেন।
সুতরাং আসুন আমরা বাকি এই কয়টা দিন ও রাত আল্লাহর ইবাদতে কাটিয়ে দিই। রমজানের শ্রেষ্ঠ শ্রেষ্ঠ ঘোষণাগুলো অর্জন করে নিই। নাজাত লাভ করি জাহান্নামের ভয়াবহ অগ্নি থেকে। অর্জন করি মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল ক্বদর। আল্লাহ আমাদের যথযথভাবে আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
জাগোনিউজ২৪ডটকমের সঙ্গে থাকুন। রমজান সম্পর্কিত সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে রমজানের রহমত, বরকত ও মাগফেরাত অর্জন করুন। আমীন, ছুম্মা আমীন।
এমএমএস/এসএইচএস/আরআই