হাদিসের যে নির্দেশ পালনে মিলবে পরকালের সফলতা
দুনিয়ার আমল ইবাদতই পরকালের সফলতা লাভের অন্যতম মাধ্যম। তবে আমল ও ইবাদত হতে হবে প্রিয়নবি শেখানো পথে ও মতে। হাদিসে পাকে আগে ফরজ ইবাদত পালনের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অতঃপর সে আমলেরই অতিরিক্ত নফল ইবাদতের কথা বলা হয়েছে।
ফরজ নামাজ আদায়ের নির্দেশের পর সফলতা লাভে সম্ভব হলে নফল নামাজের কথা বলা হয়েছে। ফরজ রোজা রাখার পর নফল রোজা পালনের কথা এসেছে। জাকাত আদায়ের পর নফল দানের কথা এসেছে।
যখনই কোনো মানুষ কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশ মোতাবেক শরিয়ত কর্তৃক নির্ধারিত ফরজসমূহ যথাযথ আদায় কবে তবেই তার পরকালীন জীবন সফল। যা প্রিয়নবি হাদিসে বর্ণনা করেছেন।
হজরত তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট নজদের এক অধিবাসী এলো। তার মাথার চুল ছিল এলোমেলো। আমরা তার কথার মৃদু আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম। কিন্তু সে কি বলছিল আমরা তা বুঝতে পারছিলাম না। এভাবে সে নিকটে এসে ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন করতে লাগলো।
(ওই ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তরে) আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ (আদায় করবে)। সে বলল, আমার ওপর এছাড়া আরো কোনো নামাজ আছে কি? তিনি বললেন, ‘না’; তবে নফল আদায় করতে পার।
আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, রমজানের রোজা (পালন করবে)। সে বলল, আমার ওপর এছাড়া আর কোনো রোজা আছে কি? তিনি বললেন- ‘না’; তবে নফল আদায় করতে পার।
বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জাকাতের (আদায়ের) কথা বললেন। সে বলল, আমার ওপর এছাড়া আর (কোনো আর্থিক দানের হুকুম) আছে? তিনি বললেন, ‘না’; তবে নফল (দান-অনুদান) হিসেবে দিতে পার।
বর্ণনাকারী বলেন, সে ব্যক্তি এ বলে চলে গেলন, ‘আল্লাহর শপথ! আমি এর চেয়ে অধিকও করব না, কমও করব না।
তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘সে সফলকাম হবে যদি সত্য বলে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
সুতরাং বুঝ গেল, সফলতা লাভে ইসলামি শরিয়ত কর্তৃক ফরজ আমলগুলো যথাযথ আদায় করতে হবে। তারপর সম্ভব হলে নফল ইবাদত করা। হাদিসে নির্দেশিত আমলগুলো হলো-
>> দিনে রাতে-পাঁচ ওয়াক্ত (ফরজ) নামাজ আদায় করা।
>> রমজানের ফরজ রোজা রাখা।
>> জাকাত আদায় করা। সম্ভব হলে অতিরিক্ত নফল নামাজ, নফল রোজা এবং আল্লাহর রাস্তায় মুক্ত হস্তে দান করা।
পরিশেষে...
মুসলিম উম্মাহর জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ নির্দেশনা অনুযায়ী আমল করা আবশ্যক কর্তব্য। যা পরকালের সফলতা লাভে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদিকে পরকালের নাজাতের জন্য প্রিয়নবি ঘোষিত ফরজ আমলগুলো যথাযথ পালনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আইআই
