রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে মক্কায় হজ পালনকারীদের প্রতিবাদ ও দোয়া

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৯ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

‘আল মুসলিমু মিল্লাতুন ওয়াহেদা’ অর্থাৎ সমগ্র মুসলিম এক জাতি তথা এক দেহ। মায়ানমারের মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলমানরা দেশটির সেনাবাহিনী দ্বারা চরমভাবে নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধে পবিত্র নগরী মক্কাস্থ বাংলাদেশ জাতীয় মুফাসসির পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক প্রতিবাদ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান।

রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধে মুফাসসির ফাউন্ডেশন-এর উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ ও হজে অংশগ্রহণকারী ওলামা মাশায়েখগণ এ প্রতিবাদ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে বক্তব্য দেন। প্রতিবাদ সভা শেষে রোহিঙ্গাদের জন্য দোয়া করা হয়। এ প্রতিবাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে দোয়া করেন শাজুলিয়া দরবার শরিফের পীর আওলাদে রাসুল আবুল হাসান শাহ মুহাম্মাদ রুহুল্লাহ শাজুলি।

দোয়া পূর্ব প্রতিবাদ সভায় তিনি বলেন, ‘মানুষ হত্যা মানবতা হত্যার শামিল। নিরাপরাদ রোহিঙ্গা মুসলমানদের যেভাবে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে; তাদের বসত-ভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে; মুসলিম যুবতীদের নির্যাতন করা হচ্ছে; তা এতটাই অমানবিক যা আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘সমগ্র মুসলিম উম্মাহ এক দেহ; এক জাতি। বিশ্ব মুসলমানদের এ নির্যাতন বন্ধে উদ্যোগ নেয়া এবং এক হওয়ার উপযুক্ত সময় এখনই। বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দের (ওআইসি) প্রতি তিনি আহ্বান জানান যে, তারা যেন আন্তর্জাতিকভাবে এ নির্যাতন বন্ধে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।’

বাংলাদেশ সরকারের কাছে মানবিকতার দৃষ্টিতে অসহায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের বিষয়টি তুলে ধরার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের সাহায্যের পাশাপাশি দেশের স্বচ্ছল ও বিত্তশালীদের প্রতিও সাহায্যের আবেদন জানান তিনি।

প্রতিবাদ সভায় মুফাসসির পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ হজে অংশগ্রহণকারী ওলামাদের আরো অনেকে বক্তব্য দেন।

বর্তমানে মক্কায় অবস্থানকারী বাংলাদেশী হাজিদের অনেকেই নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য আল্লাহ তাআলার দরবারে দোয়া করেন এবং তাদের জন্য বাইতুল্লায় নফল তাওয়াফ করেন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।