ফজরের নামাজ সময়মতো পড়তে যে আমল করবেন
দিনের শুরুতে ফজরের নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। সকাল বেলা ঘুম থেকে সজাগ না পাওয়ার কারণে অনেকেই যথা সময়ে ফজরের নামাজ আদায় করতে পারে না। হাদিসে ঘোষিত আমল করলে ফজর নামাজ কাজা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ফজরের নামাজ যথা সময়ে আদায় করতে হলে রাতের বেলা নামাজ (তাহাজ্জুদ) পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। তাছাড়া যারা রাতের আধারে নামাজে দাঁড়ায় আর আল্লাহকে ডাকে আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিদের সব চাওয়া-পাওয়া পূরণ করে দেন।
বিশেষ করে যারা রাতের বেলায় নামাজ (তাহাজ্জুদ) আদায় করে; আল্লাহ তাআলা ওই সব ব্যক্তিদেরকে ফজর নামাজ আদায়ের তাওফিক দান করেন। এ সম্পর্কে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে ঘোষণা করেন-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ ঘুমায়; শয়তান তার মাথার পিছন দিক থেকে তিনটি গিরা দেয় এবং প্রত্যেক গিরার ওপরে মোহর মারে। (যার ফলে ঘুমন্ত ব্যক্তি অন্তরে এ কথা ছড়িয়ে পড়ে যে) এখনও অনেক রাত বাকি আছে, তোমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাও। (ঘুমন্ত ব্যক্তিও ঘুমেই ফজরের সময় অতিবাহিত করে)
যদি সে (ব্যক্তি রাতের বেলা) সজাগ হয় এবং আল্লাহকে স্মরণ করে, তার একটি (প্রথম) গিরা খুলে যায়; আর যখন সে অজু করে, তখন তার আরেকটি (দ্বিতীয়) গিরা খুলে যায়; আর যখন সে নামাজ পড়ে তখন তার শেষ গিরাটিও খুলে যায়।
সকালে (ওই ব্যক্তি) খুশি মনে পবিত্র অন্তর নিয়ে (ঘুম থেকে) ওঠবে। আর যদি এগুলো (রাতে আল্লাহর জিকির, অজু ও নামাজ আদায়) না করে তবে, সে কুলষিত অন্তর ও অলস দুর্বল চিন্তা নিয়ে সকালে (ঘুম হতে) ওঠে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
উল্লেখিত হাদিসের আলোকে বুঝা যায় যে, মুমিন বান্দা যদি রাতের মধ্যবর্তী সময়ের কোনো অংশে উল্লেখিত তিনটি কাজ করে তবে আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা করে। যার ফলে ওই ব্যক্তি ফজরের নামাজ যথা সময়ে আদায় সহজ হয়ে যায়।
ফজরের নামাজ যথা সময়ে আদায় করতে হাদিসের ওপর আমল করা যেমন জরুরি। রাতের বেলা নামাজ (তাহাজ্জুদ) আদায়ের মাধ্যমে নিজেদের মনের একান্ত চাওয়া-পাওয়াগুলো অর্জনের পাশাপাশি শয়তানের কুপ্ররোচনা থেকে মুক্ত থাকাও জরুরি।
পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জিন ও মানুষ শয়তানের কুপ্ররোচনা থেকে হেফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আত্মরক্ষায় রাতের কিছু সময় আল্লাহর স্মরণ, অজুসহ নামাজ আদায়ের আমলের মাধ্যমে যথা সময়ে ফজর নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম