কুরআন তেলাওয়াত করবেন কেন?
আল্লাহ তাআলা পবিত্র গ্রন্থ কুরআন নাজিল করছেন যে, তাঁর বান্দাগণ নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করবে; কুরআনের অর্থ ও ভাব অনুধাবন করবে এবং কুরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমল করবে। কুরআনে উল্লেখিত ঐতিহাসিক ঘটনাসমূহ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং প্রত্যেক ব্যক্তিই কুরআন থেকে ইহকাল ও পরকাল সম্পর্কিত বিষয়াবলীর সঠিক দিক-নির্দেশনা গ্রহণ করবে।
বাস্তবিকপক্ষেই কুরআন তেলাওয়াত এমনই একটি আমল, যা ব্যক্তিকে কুরআন অনুযায়ী জীবন-যাপন এবং পরকালমুখী করে দেয়। দুনিয়ার জীবনের সফলতার পথ দেখায় এবং মহান আল্লাহর বিধিবিধান খুব ভালোভাবে বুঝার সুযোগ করে দেয়।
এ কারণেই আলেমগণ কুরআন তেলাওয়াতকে জীবনের একটা অংশ বানাতে আবশ্যক করেছেন। অর্থাৎ নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। প্রত্যেকবার কুরআন তেলাওয়াত করার সময় এর ভাব-বিষয়াবলীর প্রতি গভীর চিন্তা-ভাবনা করার প্রতি গরুত্ব দিয়েছেন। যা প্রত্যেকের জন্যই জরুরি।
কুরআন তেলাওয়াতের উদ্দেশ্য
>> আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত সব বিধিবিধান বাস্তবায়ন এবং এ সকল বিষয়ে সুগভীর চিন্তা-গবেষণা করা;
>> দুনিয়ার জীবন-যাপন এবং পরকালের সফলতার রহস্যাবলী অনুসন্ধান এবং অনুধাবন করা;
>> আল্লাহর বিধিবিধান অবহিত হয়ে সে মোতাবেক জীবন পরিচালনা করা এবং
>> কুরআনে উল্লেখিত পূর্ববর্তী সকল ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।
এ কথা স্মরণ রাখা জরুরি যে-
কুরআন তেলাওয়াতে শুধু হরফ ও শব্দ উচ্চারণই যথেষ্ট নয়। যে ব্যক্তি কুরআন অধ্যয়ন করে অথচ সে অনুযায়ী আমল করে না; এরূপ ব্যক্তির জন্য কুরআন শত্রু হয়ে দাঁড়ায়।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেন- رُبَّ تَالِ الْقُرْانِ وَالْقُرْانُ يَلْعَنْهُ অর্থাৎ ‘এমন কিছু কুরআন পাঠকারী আছে, যাকে কুরআন অভিসম্পাত করে থাকে।’ এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- শুধু শাব্দিক কুরআন পড়া নয়; বরং কুরআনের নির্দেশ মানা এবং তেলাওয়াতের মাধ্যমে তার ওপর আমল করা জরুরি।
সর্বোপরি যে ব্যক্তি কুরআন তেলাওয়াত করল অথচ সে কুরআন অনুযায়ী আমল করল না। কুরআনের বিধিবিধান তথা আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়ন করল না, সে যেন কুরআনকে লাঞ্ছিত করল। তাই সকল মুসলমানদের উচিত, কুরআন তেলাওয়াতের পাশাপাশি কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী আমলি জিন্দেগি যাপন করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব উপলব্ধি করে দুনিয়া ও পরকালের সফলতার জন্য কুরআনের বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম