কাবা শরিফ তাওয়াফে রোকনে ইয়ামেনিতে পড়ার দোয়া

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৯ এএম, ২১ আগস্ট ২০১৭

হজের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ ইবাদত হলো কাবা শরিফ তাওয়াফ করা। এ কাবা তাওয়াফকালে মুসলিম উম্মাহ আল্লাহর নিকট মনের ইচ্ছামতো নিজের ভাষায় বা আরবি, যেভাবেই ইচ্ছা দোয়া করতে পারবেন। কিন্তু রোকনে ইয়ামেনি থেকে হাজরে আসওয়াদ পর্যন্ত রয়েছে একটি সুস্পষ্ট দোয়া।

যাদের দ্বারা সম্ভব এ দোয়াটি বেশি বেশি করা। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দোয়াটি পড়ার ইঙ্গিত দিয়ে এর গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত বর্ণনা করেছেন।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তার সাথে অর্থাৎ রোকনে ইয়ামানির সাথে সত্তরজন ফেরেশতাকে মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। সুতরাং যখন কেউ বলে, ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ইহকাল ও পরকালের ক্ষমা ও কুশল প্রার্থনা করছি। হে প্রভু! তুমি আমাদেরকে দুনিয়ার কল্যাণ দান কর এবং পরকালের কল্যাণ দান কর। আর জাহান্নামের আজাব থেকে রক্ষা কর। তখন তারা (ফেরেশতারা) বলে আমিন (আল্লাহ তুমি কবুল কর)।’ (ইবনে মাজাহ, মিশকাত)

দোয়াটি হলো-
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আ’ফওয়া ওয়াল আ’ফিয়াতা ফিদ্‌দুনইয়া ওয়াল আখিরাহ; রাব্বানা আতিনা ফিদ্‌দুনইয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াক্বিনা আ’জাবান নার।

পুরো দোয়াটি মুখস্থ না থাকলে ন্যূনতম দোয়ার এ অংশটি পড়া-
রাব্বানা আতিনা ফিদ্‌দুনইয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াক্বিনা আ’জাবান নার।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফকালে মনের সব চাওয়া-পাওয়া এবং আবেদনগুলো তাঁর সমীপে তুলে ধরার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।