মদিনার স্মৃতিময় মসজিদসমূহ

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৩৩ এএম, ১৬ আগস্ট ২০১৭

হজ উপলক্ষে সারা বিশ্ব থেকেই মুসলিম উম্মাহ পবিত্র নগরী মক্কা এবং মদিনায় উপস্থিত হয়। যদিও মদিনার জিয়ারত হজের রোকন নয়; তথাপিও মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ের স্পন্দন ভাবাবেগের সর্বোচ্চ চূড়া ভালবাসার স্থান রাসুলের রওজা, মসজিদে নববি, সবুজ গম্বুজসহ মদিনায় অবস্থিত মসজিদগুলো।

মদিনার মসজদি নববি ছাড়াও রয়েছে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্মৃতি বিজড়িত অনেক মসজিদ। যার অনেক মসজিদে নামাজ আদায়ের রয়েছে বিশেষ ছাওয়াব ও ফজিলত। সে সব মসজিদের কিছু তুলে ধরা হলো-

>> মিকাত মসিজদ
মদিনা মুনাওয়ারা থেকে মক্কা মুকাররামা যাওয়ার পথে মসজিদে নববী থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে আকিক উপত্যকার পশ্চিম পাশেই এ মসজিদটি অবস্থিত। এটি মদিনাবাসীদের জন্য মিকাত হওয়ায় ‘মসজিদে মিকাত’ নামে পরিচিত।

Mosjid

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজ বা উমরাহ পালনের উদ্দেশে মক্কা যাওয়ার সময় এই জায়গায় একটি গাছের নিচে নামতেন এবং সেখানে সালাত আদায় করে ওমরাহ অথবা হজের ইহরাম বাঁধতেন। এ কারণে এটিকে মসজিদে শাজারাহ্ও বলা হয়।

>> মসজিদে জুমআ
হিজরতের সময় প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রানুনা উপত্যকায় একশত সাহাবাকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম জুমআর নামাজ আদায় করেন।

Mosjid

পরবর্তিতে এ স্থানে মসজিদ নির্মাণ হয়। আজকের পৃথিবীতে যা ‘মসজিদে জুমুআ’ নামে পরিচিত।

>> মসজিদে কুবা
মদিনা আগমন করে প্রিয়নবি সর্ব প্রথম যে স্থানে নামাজ আদায় করেন। তার নাম কুবা।

Mosjid

পরবর্তীতে এ স্থানে মসজিদ গড়ে ওঠে। যা ‘মসজিদে কুবা’ হিসাবেই পরিচিতি লাভ করে।

>> মসজিদে কেবলাতাইন
যে মসজিদে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছিল।

Mosjid

এ মসজিদেই বাইতুল মুকাদ্দাসের পরিবর্তে পবিত্র কাবা শরিফ কেবলা হিসেবে নির্ধারিত হয়েছিল। এখনো সে মসজিদে দুই দিকে দুটি মিহরাব বিদ্যমান রয়েছে।

>> মসজিদে গামামাহ
মসজিদে নববির দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে অবস্থিত মসজিদে গামামাহ। মদিনায় প্রথম ঈদের নামাজও পড়া হয় এ মসজিদে।

এ স্থানে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছেন বলে এটিকে ‘মসজিদে গামামাহ’ বলা হয়।

Mosjid

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শেষ জীবনের ঈদের নামাজগুলোও মসজিদে গামামাহর স্থানে আদায় করেন। এটি মসজিদে নববির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। এ মসজিদকে মসজিদে মুসাল্লাহও বলা হয়।

>> মসজিদে আবু বকর
ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর খেলাফতকালে তিনি এ মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ান।

Mosjid

তাই এটি ‘মসজিদে আবু বকর’ নামে পরিচিতি লাভ করে। যা মসজিদে গামামাহর উত্তরে অবস্থিত।

এছাড়া ও মদিনায় আরো অনেক মসজিদ রয়েছে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হজ ও ওমরা পালনকারী এবং জিয়ারতকারীদের জন্য মদিনার মসজিদগুলো দেখার এবং সেখানে ঘোষিত ফজিলতগুলো অর্জনের তাওফিক দান করুন। হজে বাইতুল্লাহ এবং জিয়ারতে মদিনা নসিব করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।