কালেমার স্বীকৃতি ও বাস্তবায়নে যেভাবে মিলবে জান্নাত

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৮ এএম, ১৫ আগস্ট ২০১৭

মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির সেরা জীব। আল্লাহ তাআলা অনেক ভালবেসে মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব করে সৃষ্টি করেছেন। আর মুসলমানদের সৌভাগ্য যে, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে কালেমার বিশ্বাস এবং বাস্তবায়নকারী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন।

হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী যারা তাওহিদের কালেমার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং তা কথা ও কাজে বাস্তবায়ন করবে তার জন্য জান্নাত সুনিশ্চিত। হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, ‘আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো ইলাহ ( ইবাদাতের উপযুক্ত উপাস্য) নেই এবং আমি আল্লাহর রাসুল।’

(আল্লাহর) যে কোনো বান্দা সন্দেহাতীতভাবে এ বাক্য দুটির ওপর ঈমান আনবে এবং সে আল্লাহ তাআলার সঙ্গে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে, সে জান্নাত থেকে বঞ্চিত হবে না। (মুসলিম, নাসাঈ, বাইহাকি)

আর আল্লাহ তাআলা দুনিয়ায় মানুষ সৃষ্টির আদি লগ্ন থেকেই তাওহিদের দাওয়াত প্রদানের উদ্দেশ্য হলো পরকালে মানুষের কল্যাণ দান করা।

যারা প্রিয়নবির এ আহ্বান মনে প্রাণে গ্রহণ করবে, তারাই হবে সফলকাম। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের সুখ ও শান্তির আবাসস্থল জান্নাতও তাদের জন্য সুনিশ্চিত এবং নির্ধারিত। উল্লেখিত হাদিসই তার প্রমাণ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ হাদিসের শিক্ষা গ্রহণ করে তাঁর প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন এবং বিশ্বনবিকে সর্বশেষ নবি ও রাসুল হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে জান্নাত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।