আল্লাহর যে গুণ বাস্তবায়নে বান্দার পরকাল নিরাপদ


প্রকাশিত: ০২:৪৩ এএম, ০১ জুলাই ২০১৭

মানুষ আল্লাহ তাআলার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। তিনিই মানুষকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। অথচ মানুষ কথা-বার্তা ও কাজ-কর্মে আল্লাহ তাআলার বিরুদ্ধাচরণ করে থাকে। মানুষের এ বিরুদ্ধাচরণে আল্লাহ তাআলা তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ গ্রহণ করেন না।

কেননা আল্লাহ তাআলা হলেন ধৈর্যের আধার। মানুষের অন্যায় আচরণেও তিনি তাদেরকে রিজিক দান করেন, অসুস্থতা থেকে সুস্থ রাখেন। দুনিয়াতে চলার পথকে সহজ করে দেন। কাজেই মহান প্রভুর ধৈর্যশীলতার কোনো তুলনাই হয় না।

যা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। হাদিসে এসেছে-

Hadith

হজরত আবু মুসা আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কষ্টদায়ক কথা শুনার পরও সে ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার চেয়ে বেশি ধৈর্যধারণকারী আর কেউ নেই। মানুষ তার জন্য সন্তান সাব্যস্ত করে। এরপরও তিনি (এসব কথা শ্রবণ করার পরও ধৈর্যধারণ করেন এবং) তাদেরকে নিরাপদ রাখেন এবং রিজিক প্রদান করেন। (বুখারি ও মুসলিম)

হাদিসে আল্লাহ তাআলার ধৈর্যধারণের প্রসঙ্গ ওঠে এসেছে। মানুষকে দুনিয়ার সব কাজে ধৈর্য ও সহমর্মিতা অবলম্বনের উত্তম শিক্ষা রয়েছে হাদিসে।

যে সব মানুষ সুখ-দুঃখ, আনন্দ-ব্যাথা, হাসি-কান্না, আরাম-ব্যারাম, বিপদ-মুসিবতে মহান আল্লাহর অনন্য গুণ ধৈর্য অবলম্বন করবে; আল্লাহ তাআলা ওই সব বান্দাকে নিরাপত্তা ও নাজাত দান করবেন।

কারণ আল্লাহ তাআলা ধৈর্যের স্রষ্টা ও মহাধৈর্যের অধিকারী। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা মানুষের সীমাহীন অপরাধের পরও প্রতিশোধ গ্রহণ না করে তাদেরকে ক্ষমা করেন। রিজিক দান করেন। নিয়ামত দান করেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পরকালের কঠিন সময়ে নিরাপত্তা ও সহমর্মিতা লাভে দুনিয়া ধৈর্য এবং সহমর্মিতা অবলম্বন করার তাওফিক দান করুন। মুমিন বান্দাকে ধৈর্যের গুণ দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজে বাস্তবায়নের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।