৩০ রোজা ফরজের রহস্য এবং আমাদের করণীয়


প্রকাশিত: ০৬:৫৮ এএম, ৩০ মে ২০১৭

আল্লাহ তাআলা পৃথিবীর প্রথম মানব হজরত আদম আলাইহি সালাম থেকে শুরু করে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত সব নবি-রাসুলদের ওপরই রোজার বিধান ফরজ ছিল।

কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর ত্রিশ দিন রোজা রাখা ফরজ হলো কেন? এর রহস্যই বা কী? বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, যুগে যুগে রোজা ফরজ হওয়ার সঙ্গে হজরত আদম আলাইহিস সালামের সঙ্গে একটি যোগসূত্র রয়েছে। আর তা হলো-

>> মানুষ যখন কোনো খাদ্য খায়, তখন তার উপকরণ ৩০ দিন পর্যন্ত পেটে থাকে। হজরত আদম আলাইহিস সালাম ও হজরত হাওয়া আলাইহিস সালাম যখন বেহেশতে যে গন্ধম খেয়েছিলেন; ওই সময় সে খাদ্যের উপকরণ ৩০ দিন পর্যন্ত পেটে ছিল। সেই খাদ্যের অপবিত্রতা থেকে মানুষের খাদ্যভাণ্ডার পেটকে পবিত্র করতেই ৩০ দিন রোজা ফরজ করা হয়েছে। (মাজালিসুল আবরার)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘রোজা ৩০ দিন ফরজ হওয়ার তাত্পর্য হলো-
হজরত আদম আলাইহিস সালাম জান্নাতের গাছের ফল খাওয়ার পর তা ৩০ দিন পেটে ছিল। যখন তিনি খাঁটি তওবা করলেন, তখন আল্লাহ তাআলা তাঁকে ৩০ দিন রোজা রাখার হুকুম দিয়েছিলেন। আল্লাহর হুকুম অমান্য থেকে মুক্তি লাভ এবং দেহ থেকে নিষিদ্ধ খাদ্যের উপকরণ দূর করতেই ৩০ দিন রোজা ফরজ করা হয়েছিল।

আমাদের করণীয়
আল্লাহ তাআলা কুরানুল কারিম নাজিল করেছেন এ পবিত্র রমজান মাসে। উদ্দেশ হলো মানুষ হেদায়েত লাভ করবে। উল্লেখিত রহস্য এবং কুরআনের বিধান যথাযথ বাস্তবায়নের উপযুক্ত সময় হলো পবিত্র রমজান মাস।

এ মাসের ৩০ দিন রোজা পালন করে আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের আগুণ দ্বারা নিজেদের খাঁটিভাবে তৈরি করতে রমজানের ৩০ দিন রোজা পালনের বিকল্প নেই।

৩০ দিন রোজা পালনের মাধ্যমে নিজেদেরকে নৈতিক, চারিত্রিক, আত্মিক ও আধ্যাত্মিকভাবে তৈরি আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করা হলো মুসলিম উম্মাহর একান্ত করণীয় কাজ।

Vision

আল্লাহ তাআলা যেহেতু ৩০ দিন রোজা পালন করার কারণে হজরত আদম আলাইহি সালামকে তার কৃত অপরাধ থেকে মুক্তি দান করেছেন। এবং ৩০ দিনের রোজা পালনে পেটের হারাম বস্তু থেকে মানুষকে মুক্তি দান করেছেন।

সেহেতু মুসলিম উম্মাহর করণীয় হলো, বিগত জীবনের গোনাহ থেকে মুক্তি লাভে খাঁটি তাওবা করে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।
ইচ্ছা হোক কিংবা অনিচ্ছায় ভক্ষণকৃত হারাম খাবার থেকে নিজেদের পেটকে পাক-সাফ করার জন্য রমজান মাসব্যাপী রোজা পালন অত্যন্ত জরুরি।

সুতরাং মুসলিম উম্মাহর একান্ত কর্তব্য হলো- রমজানের ৩০ রোজা পালনের মাধ্যমে গোনাহ থেকে মুক্তি লাভ করে জান্নাত লাভে স্বচেষ্ট থাকা। আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুসলিমাকে রমজানের ৩০ রোজা রহস্য উপলব্ধি করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা ঈমানের দাবি।

আল্লাহ তাআলা সবাইকে রমজানের রহমত মাগফেরাত ও নাজাত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।