পবিত্রতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তা


প্রকাশিত: ০৫:৩৭ এএম, ১৮ মে ২০১৭

ইবাদত বন্দেগির জন্য পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব ইসলামে অপরিসীম। পবিত্রতা অর্জন ছাড়া আল্লাহ তাআলার ইবাদাত-বন্দেগি গ্রহণযোগ্য হয় না।

ঈমানের পর ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান শারীরিক ইবাদাত নামাজ, আর্থিক ও শারীরিক ইবাদাত হজ ও ওমরাও পবিত্রতা অর্জন ছাড়া সম্পন্ন করা যায় না।

হাদিসের ভাষায় শ্রেষ্ঠ ইবাদত ‘কুরআন তেলাওয়াত’ও পবিত্র না হয়ে করা যায় না। আসুন জেনে নেই কুরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য-

পবিত্রতা কি?
আরবি ত্বাহারাত অর্থ হলো পবিত্রতা। শরীরের বিশেষ অঙ্গসমূহকে কুরআন ও হাদিসের নির্দেশিত পদ্ধতিতে ধৌত করার মাধ্যমে শরীর থেকে নাপাকি ও হদস দূর করাই হলো ত্বাহারাত বা পবিত্রতা।

>> আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা অপবিত্র হয়ে যাও তবে বিশেষভাবে পবিত্র হয়ে যাও।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৬) এ আয়াতে গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করাকে বুঝানো হয়েছে।

যা স্বামী-স্ত্রীর মিলন, স্বপ্নদোষ, নারীদের ঋতুস্রাব ও সন্তান জন্মদানের ইদ্দত পালনের পর গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। এ সকল অবস্থায় গোসল ব্যতিত নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, হজ ও ওমরা পালন করা যায় না এমনকি পবিত্র কুরআনুল কারিম ছোঁয়াও যায় না।

>> ইবাদাত-বন্দেগির জন্য শুধুমাত্র ব্যক্তি নিজে পবিত্রতা অর্জন করলেই হবে না বরং পরিধেয় বস্ত্র ও পোষাক পবিত্র হতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা পোষাক-পরিচ্ছদ পবিত্র রাখ। (সুরা মুদদাসসির : আয়াত ৪)

>> নামাজের জন্য পেশাব-পায়খানার পর নির্দিষ্ট অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হতে ময়লা দূর করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা। অজু ভঙ্গের যে কারণগুলো রয়েছে, তা থেকে পবিত্রতা অর্জন করাও আবশ্যক। এ পবিত্রতা অর্জন প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা নামাজ পড়ার ইচ্ছা করো, তখন তোমাদের সম্পূর্ণ মুখমণ্ডল ধৌত কর, উভয়হাত কনুইসহ ধৌত কর; মাথা মাসেহ কর; উভয় পা টাখনুসহ ধৌত কর।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৬)

>> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যারা ঘুম থেকে ওঠবে, তারা তিনবার হাত ধৌত না করা পর্যন্ত পবিত্রতা অর্জন করার পানি ভর্তি পাত্রে হাত প্রবেশ করাবে না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্রতাকে ঈমানের অর্ধেক বলেছেন। হাদিসে এসেছে, ‘পবিত্রতা ঈমানের অর্ধাংশ।’ (মুসলিম, মিশকাত)

পরিশেষে…
কুরআনুল কারিমের ছোট্ট একটি আয়াতের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরতে চাই, আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তাওবাকারীকে ভালোবাসেন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীকে ভালোবাসেন। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ২২২)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইবাদত গ্রহণযোগ্য করার জন্য যাবতীয় অপবিত্রতা থেকে নিজেদেরকে পবিত্র করে তাঁর প্রিয় হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।