বিশ্বনবি মানুষের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ


প্রকাশিত: ০৬:২৩ এএম, ১৩ মে ২০১৭

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। দুনিয়াতে মানুষের জীবন পরিচালনার জন্য পাঠানা হয়েছে কুরআনুল কারিম। আর প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর এ কুরআন নাজিল হয়েছে। কুরআনের বিধান তিনি নিজের জীবনে পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করেছেন। ফলে গোটা বিশ্বমানবতার জন্য তিনি অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছেন।

বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে মানুষের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ তার স্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘যারা আল্লাহ এবং শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে; অবশ্যই তাদের জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের মধ্যে সুন্দর ও সর্বোত্তম আদর্শ রয়েছে। (সুরা আহযাব : আয়াত ২১)

কুরআনুল কারমের এ আয়াত থেকে বুঝা যায় যে, মানুষের দুনিয়ার কল্যাণ এবং পরকালীন মুক্তির জন্য আল্লাহর বাণী কুরআন এবং বিশ্বনবির সমগ্র কর্মময় জীবন পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ ও অনুকরণ করা আবশ্যক কর্তব্য।

কুরআনের সঙ্গে বিশ্বনবির পবিত্র জীবন চরিত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ কুরআনের বিধান নাজিল হয়েছে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর। আর তিনি তা নিজের জীবনে পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করেছেন। আর সাহাবায়ে কেরাম প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখে দেখে জীবনের প্রতিটি বিষয় অনুসরণ ও অনুকরণ করেছেন। কুরআন ও বিশ্বনবির জীবনেই তার উল্লেখযোগ্য প্রমাণ-

>> কুরআন হলো বিশ্বমানবতার জন্য নসিহত ও হেদায়াত আর বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে এ নসিহত ও হেদায়াত গ্রহণ করতেন। অতঃপর মুসলিম উম্মাহর জন্য নসিহত ও হেদায়াতে গ্রহণে তিনি ছিলে সুসংবাদ প্রদানকারী, সতর্ককারী ও আহ্বানকারী।

>> কুরআন হলো সত্য ও সততার জন্য আল্লাহ প্রদত্ত দাওয়াত আর বিশ্বনবি হলেন আল্লাহর এ বিধান বা বার্তা মানুষের নিকট পৌছে দেয়ার জন্য সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ বার্তাবাহক নবি ও রাসুল।

আর এ কারণেই বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুকরণীয় সর্বোত্তম আদর্শ। তিনি নিজে কুরআনের প্রত্যেকটি বাক্য, আয়াত এবং উল্লেখিত সকল গুণাবলী নিজের জীবনে প্রতিপালন করেছেন।

পরিশেষে...
মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুকরণীয় আদর্শ প্রিয়নবি সাল্লামের পবিত্র সুন্নাত। এ প্রসঙ্গে মা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার একটি হাদিসই যথেষ্ট।

একবার সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে অনেকে বিশ্বনবির জীবনের কিছু অবস্থা বর্ণনা করার জন্য হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার নিকট আবদার জানালেন। হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বিস্ময়ের সঙ্গে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনারা কি কুরআন তিলাওয়াত করেন না যে, আমার নিকট বিশ্বনবির সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?

তিনি বললেন, `তাঁর পূর্ণ চারিত্রিক জীবনী কুরআনের রঙে রঙ্গিন ছিল।` অর্থাৎ কুরআন যা বিধি-নিষেধ করেছেন, বিশ্বনবি তা বাস্তবে পরিণত করে গেছেন। কুরআনই বিশ্বনবির চারিত্রিক জীবন।

সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার কল্যাণ এবং পরকালের মুক্তিতে আল্লাহর স্মরণে  কুরআন বিধান বাস্তবায়নে বিশ্বনবির সুন্নাতের রঙে নিজেদেরকে রঙিন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।