দুশমনের আক্রমন থেকে হেফাজতের দুর্গ যে আয়াত


প্রকাশিত: ০৭:৩৬ এএম, ১০ মে ২০১৭

হজরত মুহাল্লাব ইবনে আবু সারাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু’র সনদে বর্ণিত আছে, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম এক যুদ্ধে রাত্রিকালীন হেফাজতের জন্য বলেছিলেন; রাতে তোমরা (দুশমনের দ্বারা) আক্রান্ত হলে حم - لاينصرون (হা-মিম লাইউংছিরুন) পড়ে নিবে।

অর্থাৎ ‘হা-মিম’ শব্দ দ্বারা দোয়া করতে হবে যেন শত্রুরা তাদের শত্রুতায় সফল না হয়। কেননা তোমরা হা-মিম বললে শত্রুরা সফল হবে না। আর হা-মিম হলো শত্রুদের (আক্রমন থেকে) হেফাজতের দুর্গ। (তিরমিজি, আবু দাউদ)

আয়াতটি হলো-

Amal

উচ্চারণ : হা-মিম। তাংঝিলুল কিতা-বি মিনাল্লা-হিল আযি-যিল আ’লি-ম। গা-ফিরিজ্‌জামবি ওয়া ক্বা-বিলিত তাওবি শাদি-দিল ই’ক্বা-বি জিতত্বাওলি লা- ইলা-হা ইল্লা- হুয়া ইলাইহিল মাছি-র। (সুরা মুমিন : আয়াত ১-৩)

আয়াতের ফজিলত
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দিনের শুরুতে ‘আয়াতুল কুরসি’ এবং সুরা মুমিনের প্রথম তিন আয়াত পাঠ করবে, সে ঐ দিন যে কোনো কষ্ট ও অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে।

উল্লেখিত হাদিসের আলোকে বুঝা যায়-
>> যখন কোনো মানুষ শত্রুর আক্রমনে পতিত হবে; তখন উল্লেখিত আয়াতগুলো পড়লে আল্লাহর রহমতে শত্রুর আক্রমন থেকে হেফাজত থাকবে।

>> আবার প্রতিদিন নিয়মিত এ আয়াতগুলো তেলাওয়াত করলে আল্লাহ তাআলা এর তেলাওয়াতকারীকে ওই দিনের যাবতীয় অনিষ্ট ও ক্ষতি হেফাজত করবেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত আয়াতের আমল করে হাদিসে ঘোষিত ফজিলত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।