হিজাব নারীদের অধিকার : অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট


প্রকাশিত: ০৮:২৫ এএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৭

নারীরা তাদের নিজেদেরকে কিভাবে সজ্জিত করবে; তা একান্তই নারীদের ব্যাপার। নারীদের পোশাক পরিধানে কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। এমনই মনে করেন অস্ট্রিয়ার বামপন্থী নেতা আলেক্সান্ডার ভ্যানডার ব্যালেন। খবর ইকনা।

প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার বলেন, ‘হিজাব পরিধান মুসলিম নারীদের একান্তই নিজস্ব ব্যাপার। এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারোরই নেই। শুধু তাই নয়, মুসলিম নারীদের প্রতি একাত্মতা ও সহমর্মিতা প্রকাশে পৃথিবীর জানিয়েছেন তিনি।

অস্ট্রিয়ায় ডানপন্থী হিসেবে পরিচিত ফ্রিডমপার্টির উত্থান ঠেকানোর প্রচেষ্টা হিসেবে গত জানুয়ারিতে মুসলিম নারীদের পুরো মুখ ঢেকে রাখা হিজাব ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর আগে গত ডিসেম্বরে দেশটির নাগরিকরা বামপন্থী নেতা আলেক্সান্ডার ভ্যানডার ব্যালেনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করে।

অস্ট্রিয়সহ পশ্চিমা বিশ্বে মুসলিমদের প্রতি যে ভীতি ও হিজাব পরিধানে নিষেধাজ্ঞা বা আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে; তা প্রকৃতপক্ষেই অনর্থক বলে মনে করে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভ্যানডার ব্যালেন।

নিজ দেশের ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে তিনি আরও বলেন, ‘মুসলিম নারীদের সহমর্মীতা জানাতে সব নারীকেই বছরে একদিন হিজাব পড়া উচিৎ।’যদিও ছাত্রীর প্রথম দিকে এ বিষয়ে তার সঙ্গে যুক্তি-তর্কে জড়িয়ে পড়েন; পরক্ষণেই ছাত্রীদের অনেকেই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হিজাব পরিধান ইস্যুতে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

শুধু তাই নয়, অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হাউসে বক্তব্য প্রদান কালে প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার বলেন, ‘হিজাব নারীদের অধিকার। তারা নিজেদের সাজাতে কি পরিধান করবে এটা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত বাপার।

হয়তো এমন একদিন আসবে, যেদিন আমরা সব নারীকেই হিজাব পড়তে বলবো বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য যে, ‘পর্দা পালন করা ফরজ ইবাদত। আর পর্দা পালনের অন্যতম পোশাক হলো হিজাব। বর্তমান সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যখন পর্দার প্রতীক ‘হিজাব’ পরিধানে পক্ষ-বিপক্ষ মতামত ও আইন পাশ হচ্ছে, সে সময়টিতে প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভেন ডার ব্যালনের এ মতামত মুসলিম উম্মাহর সব নারীদের জন্য সুখবরই বটে।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।