আল্লাহর জিকিরই অন্তরের প্রশান্তি লাভের উপায়


প্রকাশিত: ০৩:৩৯ এএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৭

আল্লাহ তাআলা বান্দাকে লক্ষ্য উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়।’ (সুরা রা’দ : আয়াত ২৮)।

আর এ কারণেই আল্লাহ তাআলা নির্দেশ প্রদান করছেন তাঁকে স্মরণ করার জন্য। আল্লাহর স্মরণই হচ্ছে জিকির। আল্লাহর বান্দারা যখন তাঁর পরিচয় লাভে, তাঁর নৈকট্য অর্জনে কোনো মসজিলে উপস্থিত হয় এবং সেখানে তাঁর জিকির করে তখন সে মজলিস আল্লাহর দরবারে অনেক দামি হয়ে যায়।

দুনিয়াতে আল্লাহ তাআলার জান্নাতের দুটি উদ্যান রয়েছে। এর মধ্যে একটি স্থির আর অপরটি সময় ও স্থানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। হাদিসে এসেছে-

>> আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ‘আমার ঘর ও মিম্বারের মধ্যবর্তী স্থান জান্নাতের উদ্যান (রিয়াজিল জান্নাহ) সমূহের একটি। আর আমার মিম্বারটি হলো আমার হাউজে কাওছারের ওপর।’ (বুখারি ও মুসলিম)

>> হজরত আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমরা জান্নাতের উদ্যানের পাশ দিয়ে অতিক্রŠম করবে, তখন তাতে চড়ে নিবে। তারা (সাহাবায়ে কেরাম) বললেন, জান্নাতের উদ্যান কি? তিনি বললেন: জিকিরের (কুরআন ও হাদিসের আলোচনার) মজলিসসমূহ।’ (মুসনাদে আহমাদ, তিরমিজি)

যারা কুরআন-হাদিসের মজলিসে বসে আল্লাহ পরিচয় লাভ করে; আল্লাহ জিকির-আজকারে নিজেদের নিয়োজিত রাখবে তখন আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাদের জন্য ফেরেশতা নিযুক্ত করেন। যারা তাদেরকে রহমতের ছায়া দ্বারা আবৃত করে রাখেন। এ প্রসঙ্গে প্রিয় নবি বলেন-

>> হজরত আবু হুরায়রা ও আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তাঁরা উভয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকটে উপস্থিত ছিলেন; তিনি বলেন, ‘যখন কোনো জাতি বসে আল্লাহর জিকির করে তখন ফেরেশতাগণ তাদেরকে ঘিরে ধরেন এবং তাদেরকে রহমতের ডানা দ্বারা ঢেকে নেন। আর তখন তাদের উপর প্রশান্তি নাজিল হয় এবং আল্লাহ তাআলা তাদের কথা (জিকিরকারী বান্দাদের কথা) যাঁরা তাঁর নিকটে আছেন তাদের (ফেরেশতাদের)কাছে উল্লেখ করেন।’ (মুসলিম)

কুরআন ও হাদিসের আলোকে বুঝা যায়-
>> এ মজলিস হতে পারে কুরআন-হাদিস অধ্যয়নের মজলিস;
>> আবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নির্দিষ্ট একটা সময়ে দ্বীনি আলোচনার মজলিস;
>> প্রত্যেক সচেতন পরিবার চাইলে এ রকম বরকতপূর্ণ মজলিস প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রতিদিনই আয়োজন করা সম্ভব।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রতিদিনই আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করার বরকতময় মজলিশের আয়োজন করার তাওফিক দান করুন। দুনিয়াতে মুমিনের হৃদয়ে প্রশান্তি লাভ এবং পরকালের কল্যাণ লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।