ভবিষ্যতের কথায় ‘ইনশাআল্লাহ’ বলার নির্দেশ


প্রকাশিত: ০৯:৪৭ এএম, ২২ এপ্রিল ২০১৭

ইনশাআল্লাহ শব্দের অর্থ হলো ‘যদি আল্লাহ চান।’ ভবিষ্যতের কোনো কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে ‘ইনশাআল্লাহ’ শব্দটি ব্যবহার করতে হয়। অর্থাৎ যদি আল্লাহ চান; আল্লাহর ইচ্ছায়, যা ভবিষ্যতের প্রতিটি কাজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করার সঙ্গে সম্পর্কিত।

ভবিষ্যতে কোনো কাজ করার বিষয় অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে আল্লাহ তাআলা কুরআনে নির্দেশ দিয়েছেন। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা এভাবে নির্দেশ প্রদান করেছেন-

وَلَا تَقُولَنَّ لِشَيْءٍ إِنِّي فَاعِلٌ ذَلِكَ غَدًا - إِلَّا أَن يَشَاء اللَّهُ

অর্থাৎ ‘আপনি কোন কাজের বিষয়ে বলবেন না যে, সেটি আমি আগামীকাল করব; ‘যদি আল্লাহ চান’ (এ কথা) বলা ব্যতীত।’ (সুরা কাহাফ : আয়াত ২৩-২৪)

অর্থাৎ আমরা যখন বলব যে, ‘আগামীকাল করব; আগামীকাল পড়ব; আগামীকাল যাব ইত্যাদি কথা বলার ক্ষেত্রে অবশ্যই ইনশাআল্লাহ বলা জরুরি। বিশ্বনবির প্রতি আল্লাহ তাআলা এমনই নির্দেশ দিয়েছেন।

সুতরাং ভবিষ্যতের কোনো কথা বা কাজ করতে চাইলে এভাবে বলব যে, ‘ইনশাআল্লাহ, আগামীকাল এ কাজ করব’ ইত্যাদি।

যেহেতু নির্দেশটি আল্লাহ তাআলা কুরআনের কারিমে বলেদিয়েছেন, সেহেতু ভবিষ্যতের কোনো কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে ‘ইনশাআল্লাহ’ বলা উত্তম এবং ছাওয়াবের কাজ।

অতীতে হয়ে গেছে এমন কোনো ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ বলার দরকার নেই। যেমন কোনো লোক বলল গতকাল রোজা রেখেছি, নামাজ পড়েছি, কাপড় পরিধান করেছি ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ভবিষ্যতের কোনো কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে সব সময় ‘ইনশাআল্লাহ’ বলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।