রাখালের জন্য ক্ষমা ও জান্নাতের ঘোষণা


প্রকাশিত: ০৬:৪১ এএম, ০২ মার্চ ২০১৭

নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ রুকন এবং অন্যতম ইবাদত। এ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ ধন্য হয়। নামাজের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যারা আজান দিয়ে নামাজ আদায় করে, সে যেই পেশা বা কাজের লোকই হোক না কেন, আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাকে ক্ষমা করে দেন এবং জান্নাত প্রদান করেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজ আদায়কারীর জন্য অনেক সুসংবাদের ঘোষণা দিয়েছেন। নামাজ আদায়ের ফজিলত তুলে ধরতে আল্লাহ তাআলা যে রাখালকে ক্ষমা ও জান্নাতের ঘোষণা দিলেন, বিশ্বনবির একটি হাদিসে তা ওঠে এসেছে-

হজরত উকবাহ ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমার প্রতিপালক বিস্মত হন পর্বত চূড়ায় সেই ছাগলের রাখালকে দেখে, যিনি নামাজের জন্য আজান দিয়ে (সেখানেই) নামাজ আদায় করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আমার এ বান্দার প্রতি লক্ষ্য কর (এমন জায়গাতেও) আজান দিয়ে নামাজ কায়েম করছে! সে আমাকে ভয় করে। আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম এবং জান্নাতে প্রবেশ করালাম।’ (আবু দাউদ, নাসাঈ, আত-তারগীব)

অন্য হাদিসে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জামাআতে নামাজ আদায়ের ফজিলত তুলে ধরে বলেন, ‘হজরত আবু সাইদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল বলেছেন, জামাআতে পড়া নামাজ পঁচিশটি নামাজের সমতুল্য। কেউ যদি সেই নামাজ কোনো জনশূন্য প্রান্তরে পড়ে এবং তার রুকু ও সিজদা পূর্ণরূপে আদায় করে তবে ঐ নামাজ পঞ্চাশটি সমমানের নামাজের মর্যাদায় পৌঁছে যায়। (আবুদ দাউদ, আত-তারগীব)

সুতরাং নামাজ নিয়ে অবহেলা নয়। নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর ভয় এবং ভালবাসায় নামাজ আদায় করা মুসলিম উম্মাহর জন্য একান্ত আবশ্যকীয় কাজ।

উম্মাতে মুসলিমা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক, আল্লাহ তাআলা সবাইকে সঠিক সময়ে পরিপূর্ণ রুকু ও সেজদা আদায়ের মাধ্যমে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত ক্ষমা ও জান্নাত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।