অজুর পর যে কারণে দোয়া পড়বেন


প্রকাশিত: ০৮:৪৩ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

আল্লাহ তাআলা মানুষের ইবাদতের উদ্দেশ্যে করা প্রতিটি কাজকেই ফজিলতপূর্ণ করেছেন। কারণ, আল্লাহ তাআলা মানুষকে অত্যধিক ভালোবাসেন। বিভিন্ন ওসিলায় তিনি তাঁর বান্দাদেরকে মর্যাদাবান করবেন। নেয়ামত দান করবেন।

মানুষ যেন ইবাদাত-বন্দেগির প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়ে নেক আমল করে এ জন্য বিভিন্ন ইবাদাত-বন্দেগির আলাদা ফজিলত বর্ণনা করেছেন। ফরজ (নামাজ, হজ্জসহ) ইবাদাতের জন্য অজু করা আবশ্যক। আর সব সময় অজু অবস্থায় থাকা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দায়েমি সুন্নাতও বটে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতের জন্য অজুর পর কালেমা শাহাদাতের সাক্ষ্যের মধ্যে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত। এ কারণে অজুর পর দোয়া করা আবশ্যক। ফজিলত বর্ণিত হাদিসটি তুলে ধরা হলো-

Fazilat
হজরত উক্ববা ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যকার কেউ যদি উত্তম এবং পূর্ণাঙ্গরূপে অজু করার পর বলে, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দাহ ও রাসুল। তাহলে ঐ ব্যক্তির জন্য বেহেশতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হয়। সে ইচ্ছা করলে এর যে কোনো দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করতে পারবে। (মুসলিম)

সুতরাং অজু করার পর উম্মাতে মুসলিমার উচিত, উক্ত কালিমা সাক্ষ্য দেয়া। আল্লাহ তাআলা সবাইকে কালিমা সাক্ষ্য দিয়ে জান্নাত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।