মানুষের অযাচিত প্রশংসা উচিত নয়


প্রকাশিত: ০৭:৩৪ এএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৭

হাদিস এসেছে, ‘কারো সামনে তার প্রশংসা করা ঠিক নয়।’ বতর্মান সমাজে প্রশংসা এক মারাত্মক মহামারী আকার ধারণ করেছে। প্রশংসা না করলে চাকরি পর্যন্ত যায় যায় অবস্থা।

সমাজের দিকে দৃষ্টিপাত করলে বুঝা যায়, মানুষ কতাটা দায়িত্বহীন ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রশংসার ক্ষেত্রে কি পরিমাণ বাড়াবাড়ি করে থাকে। মানুষের মাঝে বিনয় ও নম্রতা কতটা অনুপস্থিত।

অথচ বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিনয় ও নম্রতা দিয়ে অন্ধকার যুগকে আলোর যুগের পরিণত করেছিলেন। এবং তাঁর ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করতে বিশেষভাবে নিষেধ করেছেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন বিশ্ব মানবতার জন্য অনুকরণ ও অনুসরণযোগ্য সর্বোত্তম আদর্শ। তিনি মানবতার মহান শিক্ষক। উম্মাতে মুহাম্মাদি কিভাবে বিনয়-নম্রতা, সম্মান ও প্রশংসা প্রকাশ করবে। তা তিনি বর্ণনা করেছেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনে বিনয়-নম্রতা ও প্রশংসা বর্ণনায় রয়েছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বিনয়-নম্রতা ও প্রশংসা প্রকাশে যেমন ছিলেন বিশ্বনবী, তা একটি হাদিসে সুস্পষ্টভাবে ওঠে এসেছে-

হজরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘তোমরা আমার প্রশংসায় বাড়াবাড়ি করো না; যেমনিভাবে (হজরত) ঈসা ইবনে মরিয়াম সম্পর্কে খ্রিস্টানরা (মাত্রাতিরিক্ত) বাড়াবাড়ি করেছিল। আমি আল্লাহ তাআলার বান্দা। তাই তোমরা বলবে- আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রসুল। (বুখারি)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে বিনয়-নম্রতা ও প্রশংসা প্রকাশে নির্দেশ মেনে চলার তাওফিক দান করুন। অযথা বাড়াবাড়ি ও মিথ্যা প্রশংসা ফেতনা থেকে হিফাজত করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।