আমেরিকান আর্মিতে দাড়ি পাগড়ি ও হিজাবের অনুমতি


প্রকাশিত: ০৭:৩১ এএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৭

মুসলমানরা বিশ্বব্যাপী অনেক রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রয়েছে। যে সব দায়িত্ব পালন করে ইচ্ছা করলেই ধর্ম-কর্ম পালন করা সম্ভব নয়। আবার দিন দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় রীতিনীতি থেকে অনেক বিধি-নিষেধ ওঠে যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকায়।

আমেরিকার সেনাবাহিনীতে কর্মরত মুসলমান পুরুষরা দাড়ি এবং পাগড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। আর নারীরা হিজাব পরিধান করতে পারবে। তবে আমেরিকার সেনাবাহিনীতে মুসলমানদের সঠিক সংখ্যা কত, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।

USA

পেন্টাগণ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা যায় যে, আমেকিরার সেনাবাহিনীতে প্রায় ৬ হাজার মুসলমান তাদের পরিচয় প্রকাশ করেছে। এর বাইরেও মুসলমান সৈন্য থাকতে পারে। কারণ এখনো প্রায় ৪ লাখ সৈন্য নিজেদের ধর্ম পরিচয় প্রকাশ করেনি।

তবে অনুমান করা হয় যে, আমেরিকার সেনাবাহিনীতে প্রায় দশ হাজারের অধিক মুসলমান কর্মরত আছেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমেরিকার সেনাবাহিনীতে মুসলিমদের সংখ্যা বেশী। এ সব মুসলিম সৈনিকরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে সব যুদ্ধে অংশ গ্রহণ নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। এসব কিছুই তাদের দেশ-প্রেমের পরিচয় বহন করে।

USA

দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকার সেনাবাহিনীতে শিখ ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় অধিকার ক্ষুন্নের দাবি করে আসছিল। এ নিয়মের ফলে ধর্মীয় বৈষম্যের অবসান হলো। যাতে শিখরা পাগড়ি, দাড়ি; আর মুসলিম পুরুষরা দাড়ি-টুপি-পাগড়ি এবং মহিলা সৈনিকরা হিজাব পরিধান করতে পারবে। আগে সৈনিকদের দাড়ি-পাগড়ি-টুপি এবং হিজাব পরিধানের রীতি চালু ছিল না।

এ সবের পাশাপাশি সেনাবাহিনীতে হালাল খাদ্য-বস্তুর নিশ্চয়তা ছিল না। মার্কিন সেনাবাহিনীতে সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ বাড়াতেই এ সব নিয়ম-নীতি নিশ্চিত করা হচ্ছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক তথ্যমতে জানা যায় যে, নিউইয়র্ক ট্রাফিক পুলিশের শতকরা ৪০জনই মুসলমান। আর আমেরিকার সামরিক বাহিনীতে রয়েছে ৫ জন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।