হাশরের ময়দানের উত্তাপ ও আতংক


প্রকাশিত: ০২:৪৭ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬

কিয়ামত অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আল্লাহ তাআলা সমস্ত মখলুকের পুনরুত্থান করবেন। অতঃপর ফয়সালার জন্য জুতা-স্যান্ডেল ছাড়া, খালি শরীরে, খাৎনাবিহীন অবস্থায় হাশরের ময়দানে একত্রিত করবেন। সেদিন সূর্য এত সন্নিকটে হবে যে, সত্তর হাত গভীর ঘামের (সাগর) হবে। মানুষ তাদের আমল অনুযায়ী এ ঘামের মধ্যে হাবুডুবু খাবে। হাশরের ময়দানের উত্তাপ এবং আতংক সম্পর্কে বিশ্বনবি হাদিসে বর্ণনা করেন-

Hashor-Inner

হজরত মেকদাদ ইবনে আসওয়াদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘কিয়ামতের দিন সূর্য মানুষের সন্নিকটে আসবে, এমনকি এক মাইল পরিমাণ দূরে হবে। তখন মানুষ তাদের আমল অনুসারে ঘর্মের মধ্যে হাবুডুবু খাবে। ঘাম কারো গোড়ালি পর্যন্ত হবে, কারো হাঁটু পর্যন্ত হবে, আবার কারো কোমর পর্যন্ত হবে এবং ঘাম কারো মুখের লাগাম হয়ে যাবে। বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর মোবারক হাত দ্বারা মুখের প্রতি ইঙ্গিত করেন। (মুসলিম)

হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী হাশরের ময়দানে মানুষ এত পরিমাণ আতংকে থাকবে যে কেউ কারো প্রতি দৃষ্টি দেয়ার সুযোগ থাকবে না। তারা ওই সময় আতংকিত থাকবে। মানুষের স্বাভাবিক চিন্তা চেতনা থাকবে না।

হাশরের ময়দানে আল্লাহ তাআলা একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হবেন। বিশ্বনবির ছোট্ট একটি হাদিসে তা ফুটে উঠেছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা রোজ কিয়ামতে জমিনকে হাতের মুঠোয় নিবেন এবং আসমানকে তাঁর ডান হাতে গুটিয়ে নিবেন। অতঃপর বলবেন, ‘আমিই একমাত্র বাদশাহ; কোথায় জমিনের বাদশাহরা (আজ) কোথায়? (বুখারি ও মুসলিম)

হাশরের ময়দানে মানুষের পুনরুত্থান- হবে আতংকজনক। সমগ্র সৃষ্টি থাকবে ভয়ে আচ্ছন্ন। কেউ কারো প্রতি দৃষ্টি দেয়ার কোনো সুযোগই পবেন। এ রকম কঠিন পরিস্থিতি আসার পূর্বেই মানুষকে আল্লাহ হুকুম পালনের প্রতি আত্ম-নিয়োগ করা জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাশরের ময়দানের এ ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার আগে তাঁর বিধান যথাযথ পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।