শয়তান মানুষকে যে প্ররোচনা দেয়


প্রকাশিত: ০৬:৪১ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৬

আল্লাহ তাআলা মানুষকে হালাল এবং পবিত্র খাদ্য ভক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন। শয়তানের অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। কারণ শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। আল্লাহ তাআলা কর্তৃক হালাল জিনিসকে শয়তান হারাম বলে মানুষকে ধোকা ও প্রতারণা দেয় আবার হারাম জিনিসকে হালাল বলে মানুষকে ধোঁকায় নিমজ্জিত করে দেয়।

শয়তান শুধু খাদ্য-দ্রব্যতেই কুপরামর্শ দেয় না বরং মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজ-কর্মেও অশ্লীল ও কুপরামর্শ প্রদান করে থাকে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শয়তানের কুপরামর্শে পতিত না হতে কুরআনে সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে বলেন-

Quran

‘(শয়তান) তোমাদেরকে এ নির্দেশ দেবে যে, তোমরা অশ্লীল ও কু-কর্মে লিপ্ত হও; আর আল্লাহ তাআলা সম্পর্কে যা তোমরা জান না তা বলতে আদেশ করে।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৬৯)

পূর্ববর্তী আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে বৈধ ও পবিত্র খাদ্যদ্রব্য খাওয়ার বিধান আরোপ করেছেন। শয়তানের অনুসরণ করে হালালকে হারাম আবার হারামকে হালাল মনে করতে নিষেধ করেছেন।

খাদ্য-দ্রব্য সংক্রান্ত জাহেলি যুগের যে সব নিয়ম-নীতি তথা দেব-দেবির নামে পশু ছেড়ে দিয়ে তা জবাই করাসহ তথাকথিত বিধিবিধানকে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত ধর্মীয় বিষয়াবলী মনে করা মূলত শয়তানের প্ররোচনা ব্যতিত অন্য কিছুই নয়।

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদেরকে সতর্ক করে দেন যে, শয়তান শুধু তোমাদের হালাল-হারামের ব্যাপারেই ধোঁকা দেয় না বরং তোমাদের দৈনন্দিন জীবনে সকল কাজ-কর্মেই সে অশ্লীল-বেহায়াপনা কাজের কুমন্ত্রণা দেয়। এমনকি ঐ কথা বলতে উদ্বুদ্ধ করে যে কথা বলতে আল্লাহ তাআলা নিষেধ করেছেন।

কারণ আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য কুরআনকে জীবন বিধান হিসেবে প্রেরণ করেছেন। ইসলামি শরিয়ত পরিপন্থী কাজ কর্মের ব্যাপারে কুরআনের কোথাও কোনো প্রমাণ নেই।

উল্লেখিত আয়াতে মানুষের বিবেক-বুদ্ধির বিচারে গর্হিত কাজ এবং ইসলামি শরিয়তের পরিপন্থী মন্দ কাজে নিজেকে জড়াতেই শয়তান বেশি প্ররোচনা দেয়। আবার আল্লাহ যা করতে নিষেধ করেছেন তা করতেও উদ্বুদ্ধ করে বিতাড়িত শয়তান।

এ সকল ক্ষেত্রে বিবেক-বুদ্ধির বিচারে গর্হিত কাজের কোনো হদ বা শাস্তি না থাকলেও ইসলামি শরিয়ত বিরোধী কাজ এবং আল্লাহর কথা বিপরীত কাজ করলে উভয় কাজের জন্যই হদ বা শাস্তি রয়েছে। সুতরাং এ সকল বিষয়গুলো যত ছোটই হোক না কেন তা থেকে বিরত থাকা জরুরি।

পরিশেষে....
আল্লাহর বিধান না মেনে বিবেক-বুদ্ধির বিচারে গর্হিত কাজ করা, ইসলামি শরিয়তের নির্দেশের পরিপন্থী কাজ এবং আল্লাহর নির্দেশিত কথা বিপরীতে চলা মারাত্মক অপরাধ। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার বিধি-নিষেধের বিপরীতে বাপ-দাদাদের অনুসরণ করাও শিরকের অর্ন্তভূক্ত।

সুতরাং আল্লাহর বিধান পালনে কোনো নেতা, বাপ-দাদা তথা পূর্বপুরুষদের অন্ধ অনুসরণ ও অনুকরণ নয়; বরং কুরআন হাদিস নির্দেশিত পন্থায় জীবন পরিচালনাই মুক্তির একমাত্র পথ।

আল্লাহ তআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কার্যকলাপ থেকে হিফাজত করুন। বিবেক-বুদ্ধির বিচারে গর্হিত কাজ থেকে রক্ষা করুন। ইসলামি শরিয়তের পরিপন্থী কাজ থেকে বিরত থাকা তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।