যে দরূদ পাঠে সম্পদের বরকত হয়


প্রকাশিত: ১২:২৪ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৬

আল্লাহ তাআলা মানুষকে সম্পদ দান করেছেন। সে সম্পদের বরকত ও পবিত্রতা লাভের মাধ্যমও জানিয়ে দিয়েছেন। সম্পদের পবিত্রতা ও বরকত অর্জন হয় জাকাত ও দান-অনুদানের মাধ্যমে।

যে ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ পাঠ করবে, তার সম্পদের হিফাজত হবে এবং বরকত হাসিল হবে। জাকাত ও দান-সাদকার পাশাপাশি বিশ্বনবির প্রতি দরূদ পাঠেও সম্পদের বরকত হাসিল হয়। সম্পদের বরকত লাভের দরূদটি তুলে ধরা হলো-

Barkat

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ছল্লি আ’লা মুহাম্মাদিন আ’বদিকা ওয়া রাসুলিকা ওয়া আ’লাল মু’মিনিনা ওয়াল মু’মিনাতি ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাত।

অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি রহমত বর্ষণ কর তোমার বান্দা ও রাসুল মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর, এবং সব মুমিন নর-নারী ও মুসলমান নর-নারীর ওপর।

দরূদের ফজিলত
>> যে ব্যক্তি তার সম্পদের মাঝে বরকত হোক এ বিষয়ে আগ্রহী; সে যেন রাসুল সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর উল্লেখিত দরূদ-শরিফটি পড়ে।

>> কোনো মুসলমানের কাছে যদি দান-সাদকা করার মতো কোনো সম্পদ না থাকে, তাহলে সে যেন এ দরূদ শরিফটি বেশি বেশি পড়ে (দোয়ার মাঝে), এটা তার জন্য জাকাতসরূপ হবে। অর্থাৎ এতে তার (সামান্য) সম্পদের মাঝেও বরকত হবে এবং তা পবিত্র হবে। (মুসতাদরেকে হাকেম)

পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক সম্পদশালীকে জাকাত আদায়ের পাশাপাশি উপরোক্ত দরূদ শরিফ পড়ে হালাল সম্পদের পবিত্রতা ও বরকত লাভে সচেষ্ট হয়। আল্লাহ সম্পদশালী মুসলিম উম্মাহকে এ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।