দুঃশ্চিন্তা ও বিষন্নতায় আল্লাহর সাহায্য লাভের দোয়া
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কোনো দুঃশ্চিন্তা, বিষন্নতা বা বিপদাপদে পতিত হতেন, তখন তিনি মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট সাহায্য চাইতেন। আল্লাহ তাআলার নিকট রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহায্য প্রার্থনা মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। যা তুলে ধরা হলো-
০১. হজরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিপদ-মুসিবতের সময় এ দোয়া পাঠ করতেন-
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আ’জিমুল হালিম; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আ’রশিল আ’জিম; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আ’রশিল কারিম।’
অর্থ : ‘আল্লাহ্ ব্যতিত সত্য কোনো মা’বুদ নেই, তিনি অতি মহান, অতি সহনশীল। আল্লাহ্ ব্যতিত কোনো সঠিক ইলাহ্ নেই, তিনি বিশাল আরশের মালিক। আল্লাহ্ ব্যতিত সত্য কোনো মা’বুদ নেই, তিনি আসমান-জমিনের এবং মহান আরশের মালিক।’ (বুখারি)
০২. হজরত আনাস বিন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিপদাপদের সময় এ দোয়া পাঠ করতেন-
উচ্চারণ : ‘ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছ।’
অর্থ : হে চিরঞ্জীব! হে সকল বস্তুর রক্ষক! আমি তোমার রহমতের ওসিলায় তোমার সাহায্য প্রার্থনা করছি।’ (তিরমজি)
০৩. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কোনো বিপদ দেখতেন, তখন আকাশের দিকে তাঁর পবিত্র মাথা উঠাতেন এবং বলতেন-
উচ্চারণ : সুব্হানাল্লাহিল আ’জিম।
অর্থ : ‘আমি প্রশংসার সাথে মহান আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।’
আর যখন দোয়ায় বেশি পরিশ্রম করতেন, তখন বলতেন-
উচ্চারণ : ‘ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম।’
অর্থ : হে চিরঞ্জীব! হে সকল বস্তুর রক্ষক! (তিরমিজি)
পরিশেষে...
দুঃশ্চিন্তা, বিষন্নতা এবং বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশ্বনবির পঠিত দোয়াগুলোর আমল করা অত্যন্ত জরুরি। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের শিখানো দোয়াগুলোর আমল করে বিপদ-মুসিবত এবং সকল প্রকার বিষন্নতা থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এবিএস