ডেনমার্কে ইসলামের প্রচারে আজান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় জামাআতে নামাজ আদায় করার লক্ষ্যে মসজিদের আশেপাশের মানুষকে একত্রিত করার জন্য আরবি ভাষায় নির্দিষ্ট শব্দ ও বাক্য দ্বারা উচ্চকন্ঠে আহ্বান করা বা নামাজের ঘোষণা করাকেই আজান বলা হয়ে থাকে। এ আজন ইসলামের অন্যতম নিদর্শনও বটে। যারা এ আজান দিয়ে থাকেন তাদেরকে মুয়াজ্জিন বলা হয়।
এ আজান ইসলামের বিপ্লবী চেতনার আহ্বান। এ চেতনাকে যুব সমাজের মধ্যে জাগ্রত করতে এবং তাদের মাঝে আত্ম-সচেতনা বৃদ্ধি এবং আজানের মূল দর্শন সম্পর্কে অবহিত করতেই ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনের বিভিন্ন সমজিদের মুয়াজ্জিনদের নিয়ে এক সফল আজান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় সেখানকার ২৫ জন মুয়াজ্জিন অংশগ্রহণ করে। খবর আহলুল বাইত নিউজ এজেন্সি(AhlulBayt News Agency)।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অবস্থিত ‘মসজিদে আলি’র সেমিনার কক্ষে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যা কোপেনহেগেনের সবচেয়ে বড় মসজিদ।
প্রতিযোগিতার অন্যতম আয়োজক সাইয়্যিদ ইয়াহিয়া আল হুসাইনি এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলেন, ‘যারা মানুষকে কল্যাণের পথে আহ্বান করেন, তাঁরা আজান প্রদানে কতটুকু আন্তরিক। এটা পরখ করা। তাদের আজানে তরুণ সমাজের প্রতিক্রিয়া কী? অর্থাৎ ইসলামের দর্শন যুব সমাজের মাঝে প্রচার হোক। যা সমাজ সংস্কারে গতি বয়ে আনবে।
আয়োজকরা আরো জানান, কুরআন ও ইসলামি সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে তরুণদের চিহ্নিত করাও এ আজান প্রতিযোগিতার অন্যতম লক্ষ্য।
ডেনমার্কে সংখ্যালঘুদের মধ্যে ইসলাম সর্ববৃহৎ ধর্ম। ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে প্রায় ৩ লক্ষাধিক মুসলিম বসবাস করে। যা তাদের ৫.৬ মিলিয়ন জনসংখ্যার শতকরা ৫ ভাগ।
ঐ দিন বাদ ইশা প্রতিযোগিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রতিযোগিতার আয়োজকরা আরো জানিয়েছেন যে, খুব শিগগিরই তরুণদের নিয়ে কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
এ ধরনের প্রতিযোগিতা ইসলাম সম্পর্কে মানুষের মাঝে ইতিবাচক মানসিকতা তৈরির মাধ্যম।
এমএমএস/এবিএস