শুকরিয়া আদায়ের সুন্নাত সিজদা
সিজদা শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্য নির্ধারিত। তিনি সিজদায় সবচেয়ে বেশি খুশি হন। তাইতো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতকে শুকরিয়া জ্ঞাপনার্থে আল্লাহ তাআলার জন্য সিজদা করার কথা বলেছেন। তিনি নিজে এবং সাহাবায়ে কেরাম যে কোনো খুশির সংবাদে শুকরিয়া আদায় স্বরূপ সিজদা করতেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবাদের পবিত্র সুন্নাতের অংশও শুকরিয়া স্বরূপ সিজদা আদায় করা। নতুন কোনো খুশির খবর আসলে অথবা বিপদ-মুসিবত চলে যাওয়ার সংবাদ আসলেও তাঁরা আল্লাহর দরবারে সিজদায়ে শোকর আদায় করতেন।
তাছাড়া কুরআনুল কারিম তিলাওয়াতের সময় সিজদাহ বিশিষ্ট কোনো আয়াত আসলে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তিনি সিজদা আদায় করতেন। কুরআন তিলাওয়াতের সিজদায় তিনি এ দোয়াটি পাঠ করতেন-
উচ্চারণ : সাঝাদা ওয়াঝহিয়া লিল্লাজি খালাক্বাহু; ওয়া শাক্কা সামআ’হু ওয়া বাছারাহু বিহাওলিহি ওয়া কুওয়্যাতিহি; (ফা তাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালিক্বিন)।’ (তিরিমজি)
অর্থ : ‘আমার মুখমণ্ডল সেই আল্লাহর জন্য সিজদায় লুটিয়ে পড়ছে, যিনি তা (মুখমণ্ডল) সৃষ্টি করেছেন, উহার সুন্দর আকৃতি দিয়েছেন এবং স্বীয় ক্ষমতা বলে উহাতে কান ও চক্ষু স্থাপন করেছেন।’
তবে শুকরিয়া আদায়ের এ সিজদা থেকে মাথা ওঠানোর সময় আল্লাহু আকবার বলা এবং বৈঠক করে তাশাহহুদ পাঠ এবং সালাম ফিরানোর কোনো বর্ণনা নেই।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে খুশির সংবাদ শুনে অথবা বিপদ-মুসিবত থেকে অব্যাহতি লাভের পর শুকরিয়া আদায় স্বরূপ সিজদা করে তাঁর পূর্ণাঙ্গ আনুগত্য করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর