রাতের ইবাদাত সম্পর্কে বিশ্বনবি
ইসলামের প্রাথমিক যুগে তাহাজ্জুদ নামাজ ফরজ ছিল। উম্মতের ওপর কষ্টকর বিধায় তাহাজ্জুদের ফরজিয়াত রহিত হয়ে যায়। তারপরও রাতের বেলায় নামাজের ব্যাপারে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতদেরকে উৎসাহ প্রদান করেছেন। যদিও তাহাজ্জুদ নামাজ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য আবশ্যক করণীয় ছিল।
রাতের বেলা নামাজ আদায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ নামাজের অসামান্য উপকারিতা ঘোষণা করেছেন। হাদিসটি তুলে ধরা হলো-
উল্লেখিত হাদিসে মুমিন বান্দার তিনটি কাজে শয়তানের মারাত্মক তিনটি কাজ থেকে হিফাজতের কথা তুলে ধরেছেন। যদিও ইমামগণ এ ব্যাপারে মতভেদ করেছেন। তথাপিও শয়তানের গিরা বলতে মুমিন বান্দার দুনিয়ার জীবনের সব ধরনের অনিষ্ট করাকেই বুঝানো হয়েছে। যা ‘গিরা’ নামক রূপক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।
সুতরাং হাদিস দ্বারা প্রমাণ হয় যে, যদি মুমিন বান্দা রাতের কিছু সময় আল্লাহর জিকির, অজু এবং নামাজ আদায়ে ব্যয় করে তবে শয়তানের যাবতীয় অনিষ্ট থেকে হিফাজত থাকা যাবে।
পরিশেষে...
জিন ও মানুষ শয়তানের হিফাজত থেকে রক্ষায় রাতের ইবাদাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রাতের কিছু সময় আল্লাহর স্মরণ, অজুসহ নামাজে অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর