বেহেশতে প্রবেশকারী প্রথমদল সম্পর্কে বিশ্বনবি
আল্লাহ তাআলা দুনিয়াকে পরকালের শষ্যক্ষেত্র হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। যারা এ দুনিয়ায় তাঁর দেখানো পথে চলবে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ মতে জীবন পরিচালনা করবে তারাই সফলকাম। তারাই জান্নাত লাভ করবেন। বেহেশতে প্রবেশ এবং বেহেশতে প্রবেশকারী প্রথমদল কেমন হবে; এ সম্পর্কে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে বর্ণনা করেছেন। যা তুলে ধরা হলো-
জান্নাতে সর্বপ্রথম প্রবেশকারী হিসেবে মর্যাদা লাভের ব্যাপারে হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আমরা সবার শেষ (প্রেরিত) হয়েও কিয়ামতের দিন সবার প্রথম (জান্নাতবাসী) হব। আমরা সর্ব প্রথম জান্নাতে প্রবেশ করব। (বুখারি, মুসলিম)
বেহেশতে প্রবেশকারী প্রথম দলের আলামত বা চিহ্ন কি হবে, সে সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘জান্নাতে প্রবেশকারী প্রথম দলটি পূর্ণিমা চাঁদের মত উজ্জ্বল আকৃতিতে প্রবেশ করবে। অতঃপর (পরবর্তী দল হিসেবে) প্রবেশ করবে আকাশের সবচেয়ে দীপ্তিমান তারকার সুরতে। সেখানে তারা পেশাব-পায়খানা করবে না, থুতু ফেলবে না, নাক ঝাড়বে না। তাদের চিরুনিগুলো হবে স্বর্ণের, ঘাম হবে মিশক আম্বরের মত, তাদের ধুপ হবে চন্দন কাঠের এবং স্ত্রীগণ হবে ‘হূরুল‘ঈন’ (আয়তলোচন চির কুমারী হুরগণ)। সকলের আকৃতি হবে তাদের বাবা অর্থাৎ আদিপিতা হজরত আদম আলাইহিস সালামের মত। ষাট হাত লম্বা হবে।’ (বুখারি, মুসলিম)
পরিশেষে...
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সকলকে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন-যাপন করে জান্নাতবাসীদের প্রথম কাতারে এবং বেহেশতে প্রবেশকারী প্রথম দল হিসেবে কবুল করুন। আমিন।
এমএমএস/এবিএস