মিনায় শয়তানকে কংকর নিক্ষেপের শেষদিন আজ
ঐতিহাসিক আরাফার ময়দানের খুতবা শ্রবণ এবং দোয়া মুনাজাতের মাধ্যমে পবত্রি হজ পালিত হয়েছে গত রোববার (১১ সেপ্টেম্বর)। আরাফাই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। ঐ দিন সূর্যাস্তের পর সকল হাজি মুযদালিফায় যান। সেখানে রাতযাপন করেন। কেননা সেখানে রাতযাপন হজের ওয়াজিব কাজ।
পরবর্তী দিন (১২ সেপ্টেম্বর) মুযদালিফা থেকে ফজর নামাজ আদায় করেই সূর্যোদয়ের পূর্বেই মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। মিনায় সেদিন শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ করতে হয়। বড় শয়তানকে কংকর নিক্ষেপ করেই হাজিগণ কুরবানি করে হালাল হয়ে গেছেন।
মিনায় তিন দিন (১০,১১ ও ১২ জিলহজ) কংকর নিক্ষেপ করতে হয়। যা আদায় করা ওয়াজিব। আজ কংকর নিক্ষেপের ওয়াজিব কাজ আদায়ের শেষ দিন। আজকের কংকর নিক্ষেপের মাধ্যমে হজ পালনকারীদের হজের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হবে।
হাজিদের মধ্যে যারা আজ (১২ জিলহজ) মিনায় ত্যাগ করবেন; তাদেরকে সূর্যাস্তের পূর্বেই মিনা ত্যাগ করতে হবে। আর যারা আজ থাকবেন, তাদের জন্য আগামীকাল (১৩ জিলহজ) তিন জামরায় ২১টি কংকর নিক্ষেপ করবেন অতঃপর মিনা ত্যাগ করবেন। বিশ্বনবির সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনটি করেছিলেন।
উল্লেখ্য যে, যার বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজের কাছাকাছি সময়ে সরাসরি পবিত্র নগরী মক্কায় পৌছেছেন। তাদের অনেকেই আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই পবিত্র মদিনা শরিফে রওজা জিয়ারাতে যাবেন।
পবিত্র নগরী মক্কার মতোই মদিনাও হারামের অন্তর্ভূক্ত। মসজিদে হারামের নির্ধারিত সীমানায় যেমন হত্যা ও শিকারসহ ইত্যাদি কাজ নিষিদ্ধ। তেমনি মদিনারও রয়েছে নির্ধারিত সীমা। এর মধ্যে কোনো ধরনের রক্তপাতসহ নিষিদ্ধ কাজ করা যায় না।
মদিনায় রয়েছে অনেক দর্শণীয়, ফজিলত মসজিদ ও স্থাপনা। যা দেখলে ঈমানদার মুসলমানের হৃদয়ে প্রশান্তি আসে। বেড়ে যায় ঈমানি শক্তি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আজকের মিনার কার্যক্রম শেষে যারা মদিনায় যায় নাই; তাদের জন্য মদিনার সফর সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরাপদ এবং ফজিলতময় করে দিন। বিশ্বনরিব প্রতি পরিপূর্ণ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সালাম প্রেরণের তাওফিক দিন। দোয়া কবুলের স্থানগুলোতে গোনাহ মাফে প্রার্থনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস