জাকাত আদায় করার শর্তসমূহ


প্রকাশিত: ১০:১৪ এএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

জাকাত নামাজের মতোই ফরজ ইবাদাত। এ ইবাদাত নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিকের ওপর আদায় করা ফরজ। জাকাতের বিধান মক্কায় ফরজ হলেও এর নিসাব, আদায়ের খাত ইত্যাদি বিধিবদ্ধ হয় দ্বিতীয় হিজরিতে মদিনা মুনাওয়ারায়।

জাকাত প্রদানের বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের মালামাল থেকে জাকাত গ্রহণ করুন, যাতে তার (জাকাতের) মাধ্যমে তাদেরকে (মানুষকে) পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন করতে পারেন। আর তাদের জন্য দোয়া করুন; নি:সন্দেহে আপনার দোয়া তাদের জন্য সান্ত্বনাস্বরূপ। বস্তুত আল্লাহ সবকিছু শোনেন এবং জানেন।’ (সুরা তাওবা : আয়াত ১০৩)

জাকাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত
জাকাত আল্লাহ তাআলা নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিকের ওপর ফরজ। কিন্তু জাকাত আদায়ে যে শর্তগুলো আবশ্যক। তা তুলে ধরা হলো-

প্রথম-
জাকাত ফরজ হওয়ার জন্য মুসলমান হওয়া শর্ত। অমুসলিমের ওপর জাকাত ফরজ নয়।

দ্বিতীয়-
জাকাত আদায়কারীকে স্বাধীন হতে হবে। ক্রীতদাস বা চুক্তিবদ্ধ ক্রীতদাসের মালের ওপর জাকাত বিধিবদ্ধ নয়।

তৃতীয়-
নিসাব পরিমাণ মালের মালিক হওয়া তবে নিসাবের মাল মেয়াদপূর্ণ না হলে তাতে জাকাত ওয়াজিব নয়।

চতুর্থ-
সম্পদের পরিপূর্ণ মালিক হওয়া। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ওপর জাকাত ফরজ নয়। যৌথ ব্যবসা পরিচালনায় সম্পদ বণ্টনের পূর্বে লভ্যাংশের ওপর জাকাত ফরজ নয়। ওয়াকফ খাতে ব্যবহৃত মাল, আল্লাহর রাস্তায় ব্যবহৃত মাল, মসজিদসহ জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহৃত মালের জাকাত ওয়াজিব নয়।

পঞ্চম-
জাকাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য মাল একবছর অতিবাহিত হওয়া। এক বছর অতিবাহিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো মালেই জাকাত ওয়াজিব নয়। তবে ফল-ফসল এর ব্যতিক্রম। কারণ, ফল ও ফসলের জাকাত ওয়াজিব হয় তা কাটা এবং পাড়ার সময়। খনিজ সম্পদ ও মাটিতে পুঁতে রাখার সম্পদের জাকাতের বিধানও ফল-ফসলের জাকাতের মতোই।

জাকাত আদায়ে মানুষ পবিত্র হয়, সম্পদ বৃদ্ধি পায়। সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জাকাত আদায়ের আবশ্যক শর্তগুলো মেনে জাকাত আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।