মিনায় কংকর নিক্ষেপের মাসনুন পদ্ধতি


প্রকাশিত: ০৭:৪০ এএম, ২৩ আগস্ট ২০১৬

হজের কার্যক্রমকে সুন্দরভাবে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আদায় করা ওয়াজিব। হজের সময় হাজিগণ ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে সূর্যাস্তের পর আরাফাতের ময়দান থেকে মুযদালিফার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। রাতে মুযদালিফায় অবস্থান করা ওয়াজিব।

মুযদালিফায় রাতে অবস্থান করে ১০ জিলহজ থেকে মিনায় কংকর নিক্ষেপ করতে হবে। মনে রাখতে হবে কংকর নিক্ষেপে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব তথা আবশ্যক। কংকরগুলো মুযদালিফা থেকেই সংগ্রহ করে নিতে হবে।

১০ জিলহজ
তিন ধাপে মিনায় মসজিদে খায়েফের সন্নিকটে অবস্থতি জামরায়ে উলা তথা বড় জামরায় কংকর মারা শুরু করবে। অতপর ৭টি কংকর একের পর এক নিক্ষেপ করতে হবে। প্রথম দিন শুধু বড় জামরায় কংকর নিক্ষেপ করবে।

স্মরণ রাখতে হবে-
বড় জামরাতে কংকর নিক্ষেপের পর ক্বিরান ও তামাত্তু হজ আদায়কারীরা কুরবানি করবে (ওয়াজিব)। অতঃপর সকল হাজিগণ মাথার চুল কেটে-ছেঁটে বা মুণ্ডন করে (স্ত্রীর সহবাস ছাড়া সবকিছু)  হালাল হবে। অতঃপর তাওয়াফে ইযাফা বা যিয়ারাত আদায় করতে হবে (১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগে)। এ তাওয়াফের মাধ্যমে পরিপূর্ণ হালাল হয়ে যাবে এবং সব কাজ করতে পারবে। অতঃপর যারা পূর্বে সাঈ করে নাই তারা সাঈ আদায় করে নিবে।

১১ ও ১২ জিলহজ
ইফরাদ, ক্বিরান ও তামাত্তু হজ আদায়কারীরা ১১ ও ১২ জিলহজ উভয় দিন প্রথমে ছোট জামরায় কংকর মারা শুরু করবে এবং একের পর এক সাতটি কংকর মারবে।

তারপর মধ্যম জামরায়ও একইভাবে সাতটি কংকর নিক্ষেপ করবে এবং সর্বশেষ বড় জামরায় কংকর মারার মাধ্যমে মিনায় কংকর মারার ওয়াজিব কাজ সম্পন্ন করবেন।

কংকর নিক্ষেপের মাসনুন পদ্ধতি

প্রথম জামরায় কংকর নিক্ষেপ
কংকর মারার পর কিছুটা পিছনে সরে আসবে এবং জামরাকে (কংকর মারার স্থান) বাম দিকে রেখে ক্বিবলামুখী হয়ে দুই হাত উত্তোলন করে করুণ আবেদন-নিবদনের মাধ্যমে আল্লাহ তআলার নিকট দোয়া করতে থাকা।

দ্বিতীয় জামরায় কংকর নিক্ষেপ
কংকর মারার পর কিছুটা সম্মুখের দিকে সরে যাবে এবং জামরাকে (কংকর মারার স্থান) ডান দিকে এবং ক্বিবলাকে সম্মুখে রেখে দুই হাত উত্তোলন করে করুণ আবেদন-নিবদনের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নিকট দোয়া করতে থাকা।

তৃতীয় জামরায় কংকর নিক্ষেপ
তৃতীয় জামরায় কংকর নিক্ষেপ করবে কিন্তু সেখানে দাঁড়ানো যাবে না এবং দোয়া না করে শুধু কংকর নিক্ষেপ করে চলে আসা।

পরিশেষে...
যারা ১১ ও ১২ জিলহজ কংকর নিক্ষেপ করে মিনা ত্যাগ করবে তাদের জন্য সূর্যাস্তের পূর্বেই মিনা ত্যাগ করা উত্তম। আর যারা বিলম্ব করে মিনায় অবস্থান করবে তারা সেখানে অবস্থান করবে এবং ১৩ জিলহজও মিনার জামরাতে কংকর নিক্ষেপ করবে। আর তৃতীয় দিবসে কংকর নিক্ষেপ করা উত্তম কাজ এবং অধিক সাওয়াবের হকদার হবে।

কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লোকদেরকে ১২ তারিখ চলে যাওয়া বৈধ বললেও তিনি নিজে ১২ জিলহজ না যেয়ে ১৩ জিলহজ পর্যন্ত অপেক্ষা করে ঐ দিন সূর্য ঢলার পর সকল জামরায় কংকর নিক্ষেপ করে জোহর নামাজ আদায় না করেই মিনা ত্যাগ করেছিলেন।

সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সকল হাজিকে উল্লেখিত দিনগুলোতে সূর্য ঢলে পড়ার পর সকল জামরায় মাসনুন পদ্ধতিতে কংকর নিক্ষেপ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এইচআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।