জীবন সমস্যার সমাধানে আল্লাহর সাহায্য লাভের উপায়


প্রকাশিত: ১১:৪৯ এএম, ১৮ আগস্ট ২০১৬

মানুষের দুনিয়ার জীবন অত্যন্ত কন্টকাকীর্ণ। তা সব সময়ই বিপদ সংকুল, কখনো ফুল শয্যা নয়। এখানে ভালো ও মন্দের প্রতিযোগিতা রয়েছে। এখানে প্রত্যেকটি কাজেই বিপদ-আপদ ও বাধা-বিপত্তি আছে। এ বিপদ-আপদ হতে পারে দুনিয়ার কাজে অথবা পরকালের আমলি জিন্দেগি তৈরিতে।

তাই আল্লাহ তাআলা বান্দার জীবন সমস্যার সমাধানে তাঁর সাহায্য লাভে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য এবং নামাজের দ্বারা সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৫৩)

এ আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা ঈমানদার বান্দাকে দুনিয়া ও পরকালের সকল সমস্যার সমাধানে এ কথা জানিয়ে দেন, হে ঈমানদারগণ! দুশমনরা ইসলামের ওপর বা তোমাদের ব্যক্তি জীবনের কার্যক্রমের ওপর যতই বাঁধা প্রদান করুন, যতই প্রশ্নই করুন কিংবা তোমাদের জীবন-সমস্যা যত কঠিন ও জটিলই হোক, তাতে তোমরা ভীত-সন্ত্রস্ত হইও না; বরং জীবনের সকল সমস্যার সমাধানে আল্লাহ তআলার সাহায্য কামনা কর সবর এবং নামাজ দ্বারা।

কেননা সবর অবলম্বন এবং নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভে ধন্য হওয়া যায়। সবর অবলম্বন এবং নামাজের কারণে তাদের অন্তরে জাগতিক ও পরকালের বিষয়ে ভয়ের কোনো কারণ থাকতে পারে না। কারণ আল্লাহ তাআলা সবর অবলম্বনকারী ও নামাজীর সঙ্গে সাহায্যকারী হিসেবেই থাকেন।

লক্ষ্যণীয় বিষয়-
কোনো সাধারণ মানুষের সঙ্গে যদি কোনো সম্পদশালী বা সমৃদ্ধশালী ব্যক্তির সম্পর্ক থাকে আর বিপদের সময় যদি ক্ষমতাধর ব্যক্তি ঐ সাধারণ মানুষের পাশে থাকে, তখন সাধারণ ব্যক্তির মনে এক ধরনের সান্তনা আসে বা শক্তির সঞ্চার হয়।

আবার মরণব্যাধিতে আক্রান্ত কোনো মানুষ বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দেয়া সত্ত্বেও তার চিকিৎসায় যদি কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে এগিয়ে আসতে দেখে, তখণ মরণব্যাধি আক্রান্ত রোগীর মাঝেও শান্তি ফিরে আসে।

তদ্রুপ এমনি অবস্থায় যদি কোনো মানুষ আল্লাহ তাআলা আনুগত্য, ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য অর্জন করতে সমর্থ হয়; তবে ঐ ব্যক্তির জন্য দুনিয়া ও পরকালের কোনো সমস্যাই থাকতে পারে না। সুতরাং সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে সকল সমস্যার সমাধানে সর্বাবস্থায় আল্লাহ তাআলা সকল বিধি-বিধান পালনে ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে নামাজের মাধ্যমে শক্তি সঞ্চয় করা জরুরি।

পরিশেষে...
বিপদে ধৈর্যহারা হলে চলবে না; বরং যে কোনো অবস্থায় ধৈর্যের মুকুট পরিধান করতে হবে। নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনে সচেষ্ট থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলার আদেশের প্রতি সুদৃঢ় এবং পূর্ণ আস্থাশীল হতে হবে।

যে কোনো বিপদ-আপদে ধৈর্য ধারণের মাধ্যমে পর্বতের ন্যায় অবিচল ও অটল থাকতে হবে এবং নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের শক্তি সঞ্চয় করতে হবে। এ জন্যই আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা সবর এবং নামাজ দ্বারা সাহায্য প্রার্থনা কর।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জীবন সমস্যার সমাধানকল্পে সর্বাবস্থায় সবর ও নামাজ দ্বারা তাঁর বিধি-বিধান পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।