পবিত্র নগরী মক্কায় দোয়া কবুলের স্থানসমূহ


প্রকাশিত: ০৯:৩২ এএম, ১৪ আগস্ট ২০১৬

আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন, ‌নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্যে নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এ ঘর, যা মক্কায় অবস্থিত এবং সারা জাহানের মানুষের জন্য হিদায়াত ও বরকতময়। (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৯৬) এই প্রথম ঘরকে কেন্দ্র করেই মক্কা নগরী পবিত্রার নগরী হিসেবে খ্যাতি ও সম্মান লাভ করেছে। আল্লাহ তাআলা এ পবিত্র নগরীর বিভিন্ন স্থানে বান্দার দোয়া কবুল করে থাকেন। যা হজ, ওমরা ও দর্শনার্থীদের জন্য তুলে ধরা হলো-

১. মা`তাফ : যে স্থানে হাজিগণ বাইতুল্লাহকে তাওয়াফ করেন। অর্থাৎ তাওয়াফের স্থান।
২. মুলতাযাম : হাজরে আসওয়াদ থেকে বাইতুল্লাহর দরজা পর্যন্ত স্থানই হলো মুলতাযাম। এ স্থানে পূর্ববর্তী পয়গাম্বরগণ দাঁড়িয়ে আল্লাহর নিকট রোনাজারি করেছেন।
৩. হাতিমের মধ্যে : কাবা ঘর লাগোয়া উত্তর দিকে অর্ধবৃত্তাকার মানুষের সমান উঁচু প্রাচীর ঘেরা একটি স্থান।
৪. মিযাবে রহমত : বাইতুল্লাহর উত্তর দিকের ছাদে (হাতিমের মাঝ বরাবর) যে নালা বসানো আছে; তাকে মিযাবে রহমত বলে। এ নালা দিয়েই বাইতুল্লাহর ছাদের বৃষ্টির পানি পড়ে।
৫. কাবা ঘরের ভিতর।
৬. জমজম কুপের কাছে (যদিও কুপ এখন বেজমেন্টের নিচে, ইচ্ছা থাকলেও তা দেখা যায় না।
৭. মাকামে ইবরাহিমের কাছে। যা হাজরে আসওয়াদের নিকটবর্তী তাওয়াফের স্থানের মধ্যে স্থাপন করা আছে।
৮. সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের ওপর।
৯. সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝখানে।
১০. বাইতুল্লাহর দিকে দৃষ্টি দানে।
১১. রুকনে ইয়ামেনি ও হাজরে আসওয়াদের মাঝখানে।
১২. আরাফাতের ময়দানে।
১৩. মুযদালিফার ময়দানে।
১৪. মিনার ময়দানে এবং মিনার মসজিদে খায়েফে।
১৫. কংকর নিক্ষেপের স্থানে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক হাজি, ওমরাকারী এবং দর্শনার্থীদের এ স্থানগুলোতে দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ কামনায় দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।