জীবিকার উৎস হোক হালাল উপার্জন

ধর্ম ডেস্ক
ধর্ম ডেস্ক ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:০১ এএম, ০৩ আগস্ট ২০১৬

হালাল উপার্জন ইবাদাত-বন্দেগি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পূর্বশর্ত। সঠিক পথে কষ্টোপার্জিত অর্থে জীবনধারণ, আহার গ্রহণকে ইসলাম আবশ্যক করেছেন। একজন পরিপূর্ণ ঈমানদারের প্রধান দায়িত্ব-কর্তব্যও তাই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানবগোষ্ঠী! পৃথিবীতে যা আছে তা থেকে হালাল, পবিত্র বস্তু-সামগ্রী ভক্ষণ কর এবং শয়তানের অনুসরণ কর না। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন। (সুরা বাক্বারা আয়াত ১৬৮)

আল্লাহ তাআলা বান্দাকে আরো সতর্ক করে বলেন, ‘সে তো তোমাদেরকে এ নির্দেশই দিবে যে, তোমরা অন্যায় ও অশ্লীল কাজ করতে থাকো এবং আল্লাহর প্রতি এমন সব বিষয়ে মিথ্যারোপ কর; যা তোমরা জান না। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৬৯)

শয়তানের অনুসরণে, অন্যায় ও অশ্লীল কাজের প্ররোচনায় হালাল রিজিক বর্জন মারাত্মক অপরাধ। কারণ মানুষ সব সময় ইবাদাত-বন্দেগিতে লিপ্ত থেকে জীবনভর নামাজ-রোজা-হজ-যাকাত আদায় করলেও কোনো লাভ হবে না। যদি তাঁর আয়-উপার্জন হালাল পথে না হয়।

কুরআনের বিধান অনুযায়ী ইসলামি অনুশাসনেই আল্লাহ নির্দেশিত হালাল রিজিকের মধ্যে বান্দার জীবনের যাবতীয় কল্যাণ নিহিত। আল্লাহ তাআলা সৎ পথে উপর্জনকারীর সকল আয়ে বরকত দান করেন এবং তাঁর সৎভাবে চালার পথকে সুগম করে দেন।

আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে সঠিক উপায়ে অর্জিত অর্থ দ্বারা জীবনধারণ, হালাল খাদ্য গ্রহণ, বৈধ জীবনাচারের মাধ্যমে মানুষের পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সুখ-শান্তি সুনিশ্চিত করে দেন। পাশাপাশি হালাল উপার্জন দ্বারা জীবিকা নির্বাহে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ব্যক্তির দ্বারা অন্যায়, অশ্লীল কাজ, শয়তানের পদাংক অনুসরণ, অসৎ পথে জীবিকা নির্বাহ করা থেকে বিরত রাখবেন। ফলে পরকালে তাদেরকে চিরস্থায়ী জান্নাত দ্বারা পুরস্কৃত করবেন।

এ কারণে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে সৎ পথে উপার্জন উদ্বুদ্ধ করতে সব সময় নসিহত করতেন। তিনি বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি উপার্জিত হারাম সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে তবু তা গ্রহণযোগ্য হবে না এবং ওই সম্পদ থেকে বরকত উঠিয়ে নেয়া হয়। যদি সে ওই সম্পদ পুঞ্জীভূত করে রাখে তবে (সে সম্পদ) তার জন্য জাহান্নামের রাস্তাকে সহজ করে দেয়া হয়। (মিশকাত)

এ হাদিস থেকে বুঝা যায়, যারা অন্যায় পথে উপার্জন করে তার কিছু অংশ এ অন্যায় কাজ থেকে বাঁচার আশায় আল্লাহর পথে ব্যয় করে। তাদের এ ব্যয় অনর্থক। যা কোনো কাজে আসবে না। কারণ হারাম তা যে কোনো বিবেচনায় হারাম এবং তা শয়তানের পদাংক অনুসরণের শামিল। আল্লাহ তাআলা এসব থেকে দুনিয়ার সকল মুমিনকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম ‍উম্মাহকে বৈধ পথে উপার্জন করার তাওফিক দান করুন। হালাল উপার্জিত অর্থ তাঁর পথে ব্যয় করার তাওফিক দান করুন। জীবিকার উৎস হোক হালাল উপার্জন- এ প্রত্যাশা হোক সবার। আমিন।

এমএমএস/এএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।