তাকবিরে তাহরিমা ও ক্বিরাআত পাঠের মধ্যে বিশ্বনবির দোয়া


প্রকাশিত: ০৬:৫৩ এএম, ০২ আগস্ট ২০১৬

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামাজ পড়তেন, তখন তিনি তাকবিরে তাহরিমার পর ক্বিরাআত পাঠের পূর্বে কিছু সময় নিরবতা পালন করতেন। সাহাবাদের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানালেন নিরবতা থাকার সেই কারণ। যা তুলে ধরা হলো-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকবিরে তাহরিমা ও ক্বিরাআত পাঠের মধ্যে কিছু সময় নিরব থাকতেন। একদিন আমি (আবু হুরায়রা) বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমার বাবা ও মা আপনার প্রতি উৎসর্গ হোক। আপনি তাকবিরে তাহরিমা ও ক্বিরাআত পাঠের মাঝে নিরব থাকেন, এতে কি পাঠ করেন? তিনি বললেন, আমি বলি-

Hadith

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বা-ই’দ বাইনি ওয়া বাইনা খাত্ব-ইয়া-ইয়া কামা বা-আ’ত্তা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব। আল্লাহুম্মা নাক্ব্‌ক্বিনি মিনাল খাত্ব-ইয়া কামা-ইয়ুনাক্ব্‌ক্বাছ ছাওবুল আব্ইয়াযু মিনাদ দানাস। আল্লাহুম্মাগ্‌সিল খাত্ব-ইয়া-ইয়া বিলমা-য়ি’ ওয়াছ ছাল্‌জি ওয়াল বার্‌দি।

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার ও আমার পাপ সমূহের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করে দাও, যেভাবে তুমি দূরত্ব সৃষ্টি করেছ পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে আমার পাপসমূহ হতে পরিচ্ছন্ন কর, যেভাবে পরিচ্ছন্ন করা হয় ময়লা থেকে সাদা কাপড়কে। হে আল্লাহ! তুমি আমার পাপসমূহ ধুয়ে ফেল পানি, বরফ ও শিশির দ্বারা।’ (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজের তাকবিরে তাহরিমার পর ক্বিরাআত পাঠের পূর্বে এ দোয়ার মাধ্যমে নিজেদেরকে গোনাহমুক্ত রাখতে তাঁর নিকট দোয়া করার তাওফিক দান করুন। নামাজ ছাড়াও অন্যান্য সময় এ দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এইচআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।