দোয়া কবুলের পূর্বশর্ত


প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ২৩ জুলাই ২০১৬

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‌দোয়া হলো ইবাদাত। আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেছেন, তোমরা আমাকে ডাক, (আমি) তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। সুতরাং আল্লাহ তাআলার নিকট কোনো আবেদন-নিবেদন, আকুতি-মিনতি, চাওয়া-পাওয়া গ্রহণযোগ্য করতে তাঁর নিকট দোয়া করা আবশ্যক।

দোয়া কবুলের জন্য প্রধানতম শর্ত হলো শিরকমুক্ত দোয়া করা। দোয়া যেহেতু ইবাদাত তাই দোয়া করতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহর নিকট। আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নিকট কোনো কিছু চাওয়া বা মিনতি করা যাবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন-  

‘বলুন, আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের উপাস্য এক ও অদ্বিতীয়। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার ইবাদাতে কাউকে শরিক না করে।’ (সুরা কাহাফ : আয়াত ১১০)

দোয়া যেহেতু ইবাদাত। তাই যাবতীয় ইবাদাত আল্লাহর জন্য করা আবশ্যক। যেমন-
>> সিজদা করতে হবে আল্লাহর জন্য;
>> ভরসা করতে হবে আল্লাহর ওপর;
>> ভয় করতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহকেই;
>> যাবতীয় ইবাদাতের নিয়ত করতে হবে আল্লাহর জন্য;
>> হলফ বা শপথ করতে হবে আল্লাহর জন্য এমনকি দোয়া করতে হবে আল্লাহর নিকট।

যদি কেউ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নিকট কোনো কিছু আবেদন-নিবেদন করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তা গ্রহণ করবেন না। বরং তাকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। সুতরাং দোয়া কবুলের একমাত্র শর্ত হলো শিরকমুক্ত ঈমান নিয়ে আল্লাহর নিকট দোয়া করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শিরকমুক্ত ঈমান নিয়ে শুধুমাত্র তাঁর নিকট দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।