কুরআনসহ সব আসমানি গ্রন্থের ওপর বিশ্বাসের ঘোষণা


প্রকাশিত: ০৬:৫১ এএম, ২১ জুলাই ২০১৬

ঈমান হলো এই যে, আল্লাহ তাআলা কর্তৃক প্রেরিত সকল নবি রাসুলের ওপর অবতীর্ণ ধর্মগ্রন্থের ওপর বিশ্বাস রাখা। কোনো আসমানি কিতাব ও নবি-রাসুলকে অস্বীকার না করা। কোনো আসমানি কিতাব বা নবিকে অস্বীকার করা আবার কাউকে মেনে নেয়া এবং নবি-রাসুল ও আসমানি কিতাবের মধ্যে পার্থক্য সূচিত করা ইসলামে বৈধ নয়। প্রত্যেক নবি-রাসুল ও আসমানি কিতাবের প্রতিই বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে।

আর আমল করতে হবে শুধুমাত্র কুরআনের ওপর। কেননা পূবর্বর্তী ধর্মাদর্শগুলো অবিকৃত অবস্থায় নেই এবং কুরআন নাজিলের মাধ্যমে পূর্ববর্তী সব গ্রন্থের বিধানকে রহিত করা হয়েছে। কুরআনসহ পূর্ববর্তী নবি-রাসুল ও আসমানি কিতাবের ওপর বিশ্বাস সংক্রান্ত বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন-

Quran

‘তোমরা বল, আমরা তো আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছি এবং ঈমান এনেছি আল্লাহ তাআলা আমাদের ওপর যা নাজিল করেছেন তার ওপর; (আমাদের আগে হজরত) ইবরাহিম, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াকুব (আলাইহিস সালাম) ও তাদের (পরবর্তী) সন্তানদের ওপর যা কিছু নাজিল করা হয়েছে সে সবও (আমরা মানি, তাছাড়া হজরত) মুসা, ইসা (আলাইহিস সালাম) সহ সব নবিকে তাদের মালিকের পক্ষ থেকে যা কিছু দেয়া হয়েছে তার ওপরও আমরা ঈমান এনেছি, আমরা এদের কারো মধ্যেই কোনো তারতম্য করি না, আমরা তো হচ্ছি আল্লাহ তাআলা নিকট আত্মসমর্পনকারী (বান্দা)।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৩৬)

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তার ওপর যেন তারা বিস্তারিতভাবে বিশ্বাস স্থান করে পাশাপাশি পূর্ববর্তী নবিদের ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে সেগুলোকে সংক্ষিপ্তাকারে বিশ্বাস স্থাপন করে। কিন্তু আমল হবে শুধুমাত্র কুরআনুল কারিমের ওপর।

পূর্ববর্তী নবিদের কারো নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অন্যান্যদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। এবং আল্লাহ তাআলা বলেছেন, কেউ যেন পূর্ববর্তী নবিদের মধ্যে প্রভেদ সৃষ্টি না করে। কাউকে মানবে আর কাউকে বিশ্বাস করবে না এমনটি করা ঠিক নয়।

এমনটি করার অভ্যাস পূর্ববর্তীদের মধ্যে ছিল। ইয়াহুদিরা হজরত ইসা আলাইহিস সালামকে মানতো, খ্রিস্টানরা হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মানতো না, আবার হিজাজের আরববরা হজরত মুসা, ইসা ও হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ তিনজনকেই অস্বীকার করতো। এদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা অন্যত্র বলেছেন, ‘এরা নিশ্চিত রূপেই কাফির।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১৫১)

পক্ষান্তরে যারা ইসলামকে জীবন-বিধান হিসেবে গ্রহণ করেছে। তারা এমনটি করতে পারে না। কারণ তারা আল্লাহ তাআলার নিকট পরিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পন করেছে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর সকল বিধি-নিষেধ পালন করে খাঁটি মুসলিমদের অন্তর্ভূক্ত হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।