ঈদের নামাজ যেভাবে পড়বেন


প্রকাশিত: ১০:৫৪ এএম, ০৫ জুলাই ২০১৬

আরবি মাস ২৯ ও ৩০ দিনে হয়। রমজান মাসের ২৯ তারিখ চাঁদ দেখা গেলে রমজানের রোজা ৩০ দিন পূর্ন করতে হবে। ৩০ রমজান চাঁদ দেখা না গেলেও পরদিন হবে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন। আর এদিনই পালিত হবে পবত্রি ঈদুল ফিতর। তাছাড়া হজের মাসে রয়েছে আত্ম ত্যাগের ঈদ কুরবানি। এ ঈদকে ঈদ-উল-আজহা বা কুরবানির ঈদ বলা হয়। বছরে মুসলিম উম্মাহ এ দুই দিনই ঈদের নামাজ পড়ে থাকে। ঈদের নামাজ পড়ায় দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে অনেকেই ঈদের নামাজের নিয়মগুলো ভুলে যায়। তাই ঈদের নামাজ পড়ার নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো-

>> ঈদের নামাজ দুই রাকাআত। যা আদায় করা ওয়াজিব এবং তা জামাআতের সহিত পড়তে হয়।
>> ঈদের দুই রাকাআত নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবির দিতে হয়ে।

প্রথম রাকাআত
আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে ঈদ-উল-ফিতরের দুই রাকাআত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবিরের সাথে ইমামে পিছনে আদায় করছি-

>> তাকবিরে তাহরিমা- ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বাধবেন।

Inne

ইমাম ও মুসল্লিরা নিয়ত বাধার পর ছানা অর্থাৎ এ দোয়াটি পড়বে-

Inne

উচ্চারণ : সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা ঝাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুক।

তারপর ইমামের উচ্চস্বরে তাকবির বলার সঙ্গে মুসল্লিরাও তাকবির বলবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবির বলার সময় উভয় হাত কান বরাবির ওঠিয়ে ছেড়ে দিবেন। তৃতীয় তাকবিরের সময় উভয় হাত কান বরাবর ওঠিয়ে না ছেড়ে হাত বাধবেন।

অপঃপর ইমাম সাহেব সুরা ফাতিহা এবং অন্য সুরা মিলিয়ে রুকু, সিজদা করবেন; মুসল্লিরাও ইমামের সঙ্গ রুকু সিজদা করবেন।

দ্বিতীয় রাকাআত
ইমাম সাহেব দ্বিতীয় রাকাআতে সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা মিলানোর পর রুকুতে যাওয়ার পূর্বে অতিরিক্ত তিন তাকিবর প্রথম রাকআতের মতোই আদায় করবেন। অতপর রুকু-সিজদা করার পর অন্যান্য নামাজের মতোই নামাজ সম্পন্ন করবেন।
উভয় ঈদের আগে পরে কোনো নফল বা সুন্নত নামাজ নেই। এমনকি ঈদের নামাজের জন্য কোনো আজান ও ইক্বামাতেরও প্রয়োজন নেই।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুন্দরভাবে ঈদের নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।