ই’তিকাফের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য


প্রকাশিত: ০৭:৪১ এএম, ২৬ জুন ২০১৬

আজ রোববার (২০ রমজান, ২৬ জুন) সন্ধ্যা থেকেই ই’তিকাফকারীরা আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে মসজিদে অবস্থান শুরু করবে। রমজানের এ ই’তিকাফ অনেক ফজিলতপূর্ণ ইবাদাত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমৃত্যু রমজানে ই’তিকাফ করেছেন। ই’তিকাফের জন্য রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্তাবলী। যা তুলে ধরা হলো-

ই’তিকাফের শর্ত-
রমজানের ই’তিকাফের জন্য রোজা রাখা শর্ত। রমজানের বাইরে অন্য সময় ই’তিকাফের জন্য রোজা শর্ত নয়। রমজানে শেষ দিন ই’তিকাফ করা। ন্যূনতম শেষ তিন দিন ই’তিকাফ করা। রমজানের বাইরে ই’তিকাফের নির্দিষ্ট কোনো মেয়াদ নেই।

ই’তিকাফ সহিহ হওয়ার শর্ত-
>> মুসলমান হওয়া;
>> জ্ঞানবান হওয়া; প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া ই’তিকাফের জন্য শর্ত নয় বরং জ্ঞানবান নাবালিগের জন্যও ই’তিকাফ সহিহ হবে।
>> জানাবাত (অপবিত্রতা), হায়েজ (ঋতুস্রাব) ও নিফাস থেকে পবিত্র হওয়া।
>> মহিলাদের ই’তিকাফের জন্য স্বামীর অনুমতি শর্ত। স্বামী অনুমতি দেয়ার পর ই’তিকাফ থেকে বারণ বা বিরত রাখা যাবে না।

ই’তিকাফ কোথায় করবেন-
>> ই’তিকাফ এমন মসজিদে করা যেখানে নামাজের জামাআত হয়।
>> ই’তিকাফের জন্য সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদুল হারাম (বাইতুল্লাহ)।
>> অতপর মসজিদে নববি (মদিনা)।
>> এরপর বাইতুল মুকাদ্দাস (মসজিদে আকসা)।
>> যে কোনো জামে মসজিদ।
>> যে মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা বেশি হয়।
>> মহিলারা নিজ গৃহের নির্দিষ্ট স্থানে ই’তিকাফ করবে। মসজিদে মহিলাদের জন্য ই’তিকাফ করা বৈধ নয়।

ই’তিকাফের আদব-
>> ই’তিকাফ করাকালীন সময়ে নেক কথা ছাড়া অপ্রয়োজনীয় কথা না বলা। শ্রেষ্ঠ মসজিদকে ই’তিকাফের জন্য নির্ধারিত করা।
>> ই’তিকাফ অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত ও অধ্যয়ন, হাদিস অধ্যয়ন, দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা এবং শিক্ষা দেয়া।
সর্বোপরি দুনিয়াবি কাজ-কর্ম থেকে বিরত থেকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে ইবাদাত-বন্দেগিতে মশগুল থাকাই হলো ই’তিকাফের আদব।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ই’তিকাফের বিষয়গুলো যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। বিশেষ করে লাইলাতুল কদরের ফজিলত দান করুন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।