দাজ্জালের ফিৎনা থেকে বেঁচে থাকার আমল


প্রকাশিত: ০১:১৯ পিএম, ১৮ জুন ২০১৬

কুরআনুল কারিম মানুষের একমাত্র মনোনীত জীবন বিধান। যারা এ বিধানকে বাস্তবজীবনে ধারণ করবে তাদের কোনো ভয় থাকবে না এবং কোনো চিন্তাও নেই। তাই কুরআনুল কারিমের একটি ফজিলতপূর্ণ সুরা সুরা কাহফের` আমল তুলে ধরা হলো-

>> হজরত উবাইদ ইবনে হুজায়ের রাদিয়াল্লাহু আনহু সুরা কাহফ তিলাওয়াত করছিলেন। তাঁর গৃহে একটি চতুষ্পদ জন্তু ছিল। সে ছুটাছুটি করতে লাগলো। তিনি লক্ষ্য করলেন, আকাশে একটি মেঘখণ্ড তাঁর ঘরের উপর ছায়া বিস্তার করে রয়েছে। এ সাহাবি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে এ ঘটনা বর্ণনা করলেন। বিশ্বনবি বললেন, এটি হলো সাকিনাহ, যা আল্লাহ তাআলা কুরআন তিলাওয়াতের কারণে নাজিল করেছেন। (বুখারি, মুসলিম ও মুসনাদে আহমদ)

>> মুসনাদে আহমদে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহফের প্রথম দশটি আয়াত মুখস্ত করবে, তাকে দাজ্জালের ফিৎনা থেকে রক্ষা করা হবে। অবশ্য তিরমিজিতে তিন আয়াতের কথা উল্লেখ রয়েছে।

>> শুধু তাই নয়, যে ব্যক্তি সুরা কাহফের প্রথম এবং শেষ অংশ পাঠ করবে; তার জন্য তা মাথা থেকে পা পর্যন্ত নূর হবে। আর যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ সুরাটি তিলাওয়াত করবে সে জমিন থেকে আসমান পর্যন্ত নূর লাভ করবে। (মুসনাদে আহমদ)

>>  হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় এসেছে, ‘যে গৃহে কোনো রাতে এ সুরা তিলাওয়াত করা হয়; সে রাতে ঐ ঘরে শয়তান প্রবেশ করতে পারে না।

পরিশেষে...
দাজ্জালের ফিৎনা থেকে মুক্তির ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছোট্ট একটি হাদিস দিয়ে শেষ করতে চাই, হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহফের প্রথম দশটি আয়াত মুখস্ত করে রাখবে, তাকে দাজ্জালের ফিৎনা থেকে রক্ষা করা হবে। (মুসলিম, তিরমিজি, আবু দাউদ, নাসাঈ, মুসনাদে আহমদ, ইবনে হিব্বান)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা কাহফের তিলাওয়াত ও আমলের মাধ্যমে দুনিয়ার ভয়াবহ ফিৎনা দাজ্জালের আক্রমণ থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দিন। আমিন।

এমএমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।