রমজানে ক্ষমা লাভের উপায়


প্রকাশিত: ১২:৩৭ পিএম, ১৬ জুন ২০১৬

মাগফিরাতের দশকে বান্দার একমাত্র কাজ হলো আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে গোনাহ মাফ করানো। হাদিসে গোনাহ মাফের অনেক পন্থা বর্ণনা করা হয়েছে। রমজানে গোনাহ মাফের অন্যতম উপায় হলো তারাবিহ নামাজ পড়া এবং রোজাদারকে ইফতার করানো। এ প্রসঙ্গে বিশ্বনবির দুটি হাদিস তুলে ধরা হলো....

মুসলিম উম্মাহ জন্য রমজান মাসে তারাবিহ নামাজে রাখা হয়েছে গোনাহ মাফের সুযোগ। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাসে তারাবিহ নামাজ কায়েম করার জন্য উৎসাহিত করতেন, তবে তিনি (সরাসরি) তাগিদ সহকারে আদেশ করতেন না; বরং তিনি এভাবে বলতেন- ‘যে ব্যক্তি পূর্ণ ঈমানের সঙ্গে ও সাওয়াবের উদ্দেশ্যে রমজান মাসে নামাজ কায়েক করে (তারাবিহ পড়ে), তার বিগত (জীবনের) সব (সগিরা) গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (মুসলিম, মিশকাত)

তারাবিহ নামাজ ছাড়াও গোনাহ মাফের আরেক কার্যকরী আমল হলো- রোজাদারকে ইফতার করানো। এ ব্যাপারে হাদিসে এসেছে, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, রমজান মাসে যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার গোনাহগুলো মাফ হয়ে যাবে। সে দোজখ থেকে মুক্তি পাবে আর সে রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে, কিন্তু এতে রোজাদারের সওয়াব থেকে কিছুই ঘাটতি হবে না।

সুতরাং মাগফিরাতের দশকে গোনাহ মাফের লক্ষ্যে তারাবিহ নামাজ আদায়ের পাশাপাশি গরিব-দুঃখী ও অসহায় পাড়া-প্রতিবেশির মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা যেতে পারে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ক্ষমা লাভের দশকে গোনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।