রোজাদারকে ইফতার করালেই দ্বিগুণ সাওয়াব


প্রকাশিত: ০৯:২৬ এএম, ০৯ জুন ২০১৬

রমজানের বাঁকা চাঁদ আকাশে উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানদের জন্য খুলে যায় রহমতের দরজা। রহমতের দশকে আল্লাহর নৈকট্য লাভে কালেমা বিশ্বাসী মুসলমান ইবাদাত-বন্দেগির প্রতিযোগিতা শুরু করে দেয়। আল্লাহর রহমত অর্জনে রোজাদারকে ইফতার করানোও ইবাদাত। যাতে রয়েছে অনেক সাওয়াব ও ফজিলত। এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। যা তুলে ধরা হলো-

হজরত যায়েদ ইবনে খালেদ জুহানি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে রোজাদারকে ইফতার করালো, তারও রোজাদারের ন্যায় সাওয়াব হবে, তবে রোজাদারের নেকি বিন্দুমাত্র কমানো হবে না। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তাকে এক মহিলা ইফতারের জন্য দাওয়াত করলো, তিনি তাতে সাড়া দিয়ে বললেন, ‘আমি তোমাকে বলছি, যে গৃহবাসী কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, তাদের জন্য তার অনুরূপ সাওয়াব হবে। মহিলা বলল, আমি চাই আপনি ইফতারের জন্য আমার কাছে কিছুক্ষণ অবস্থান করুন বা এ জাতীয় কিছু বলেছে। তিনি বললেন, আমি চাই এ নেকি আমার পরিবার হাসিল করুক। (মুসান্নাফ ইবনে আব্দুর রায্যাক)।

আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ যে, তিনি রমজানে বান্দার জন্য কল্যাণের নানা দিক উন্মুক্ত রেখেছেন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইফতার করানোর ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।