জেনে নিন যে সুরা দিয়ে ফজরের নামাজ পড়বেন
নামাজে সুরা ফাতিহা পাঠ শেষে অন্য একটি সুরা মিলাতে হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনও লম্বা সুরা পাঠ করতেন আবার কখনও সফর অথবা অন্য কোন কারণে সংক্ষিপ্ত কিরাআত পাঠ করতেন। কিন্তু অধিকাংশ সময় তিনি মধ্যম পন্থা অবলম্বন করতেন।
ফজরের নামাজে বিশ্বনবির কিরাআত
ফজরের নামাজে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ষাট থেকে একশ আয়াত পর্যন্ত তিলাওয়াত করতেন। তিনি উভয় রাকাআতেই সুরা কাফ, সুরা রূম, সুরা তাকভির, সুরা যিলযাল পড়েছেন। আবার সুরা ফালাক ও সুরা নাস দিয়েও ফজরের নামাজ পড়ার অভিমত পাওয়া যায়।
জুমআর দিনে ফজরের কিরাআত
জুমআর দিন ফজরের নামাজের প্রথম রাকাআতে তিনি আলিফ-লাম-মিম সাজদা এবং দ্বিতীয় রাকআতে সুরা ইনসান তথা هل أتى على الإنسان পাঠ করতেন। কেননা এই সুরা দু’টিতে সৃষ্টির সূচনা ও শেষ; আদম আলাইহিস সালামের সৃষ্টি; মুমিনদের জান্নাতে প্রবেশ ও পাপীদের জাহান্নামে নিক্ষেপের আলোচনা এবং জুমআর দিনে যা সংঘটিত হয়েছে আর আগামীতে এতে যা কিছু হবে তার বিস্তারিত বিবরণ এসেছে।
জুমআর দিন সুরা দু’টি তিলাওয়াতের কারণ
এ সুরায় উল্লেখিত ঘটনাগুলো উম্মাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্যই জুমআর দিন ফজরের নামাজে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা দুটি পাঠ করতেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ফজরের নামাজে এ ফজিলতপূর্ণ সুরাগুলো তিলাওয়াত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/আরআইপি