‘করজে হাসানা’র প্রতিদান প্রদানে আল্লাহর ঘোষণা
‘করজে হাসানা’ এর শাব্দিক অর্থ হলো ‘ভালো ঋণ’। অর্থাৎ এমন ঋণ; যা কেবল সৎ কাজ সম্পাদনের উদ্দেশে নিস্বার্থভাবে কাউকে দেয়া হয়।
অনুরূপভাবে আল্লাহর পথে ব্যায় করলে আল্লাহ তাআলা তাকে নিজের জন্য ঋণ বলে গণ্য করেন।
মুসলিম উম্মাহর পারস্পরিক সহযোগিতায় করজে হাসানা প্রদানের প্রতি উৎসাহিত করতে এর লাভ ও উপকারিতা বর্ণনা করে আল্লাহ তাআলা বলেন-
আয়াতের অনুবাদ
আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণ
সুরা বাকারার ২৪৫ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতায় করজে হাসানা বা উত্তম ঋণ প্রদানের প্রতি উৎসাহ প্রদান করেছেনর।
মানুষকে যদি সহযোগিতা করতে হয় তবে কল্যাণের পথে সাওয়াবের নিয়তে ঋণ প্রদানই হলো করজে হাসানা।
আর আল্লাহর পথে দান করলেও আল্লাহ তাআলা এ দানকে নিজের জন্য ঋণ হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা শুধু দান করার অর্থের পরিমাণই ফেরত দেবেন না বরং দ্বিগুণ থেকে কয়েকগুণ বেশি দেয়ার ওয়াদা করেছেন।
করজে হাসানার ফায়েদা লাভে শর্ত হলো-
‘সেটি ‘করজে হাসানা’ তথা এমন ঋণ যা দেয়ার পেছনে দুনিয়ার কোনো স্বার্থ বা বুদ্ধি থাকবে না বরং নিছক আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে এ ঋণ দিতে হবে। শুধু তাই নয়, ঐ অর্থ এমন কাজে খরচ করতে হবে যে কাজ আল্লাহ তাআলা পছন্দ করেন।’
আবার করজে হাসানার অর্থ হলো- আল্লাহ পথে এবং জিহাদে অর্থ খরচ করা। আল্লাহ নির্দেশ হলো জিহাদে জানের কুরবানির মতো মাল তথা অর্থ-সম্পদের কুরবানিতেও দ্বিধা করো না। আর আয়-রোজগার বাড়ানো ও সংকুচিত করার এখতিয়ার আল্লাহ তাআলার হাতে। তিনি উভয়ের মাধ্যমেই তাঁর বান্দাকে পরীক্ষা করবেন।
আল্লাহ তাআলার পথে ব্যয় করলে বা তাঁর নির্দেশিত পদ্ধতিতে ব্যয় করলে অর্থ-সম্পদ কমে না, বরং মহান আল্লাহ তাআলা এতে অনেক বরকত দান করেন। তা কখনো বাহ্যিকভাবে, আবার কখনো অভ্যন্তরীণভালো সম্পদে বরকত দান করেন। আর পরকালের যে বরকত হবে তা অবশ্যই বিস্ময়কর।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের কল্যাণকর কাজের উত্তম আদর্শ গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম