শাবান মাসের রোজা

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৮ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শাবান মাসে নবিজি (সা.) অন্য মাসের তুলনায় বেশি রোজা রাখতেন

হিজরি ক্যালেন্ডারের অষ্টম মাস শাবান। ইসলামে শাবান মাস বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদাপূর্ণ। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রমজানপূর্ব এ মাসটিতে অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি রোজা রাখতেন ও ইবাদত করতেন। তবে তিনি শাবান মাসে প্রতিদিন রোজা রাখতেন না। আয়েশা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রমজান ছাড়া অন্য কোনো মাসে প্রতিদিন রোজা রাখতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে বেশি নফল রোজা আর কোনো মাসে রাখতে দেখিনি। (সহিহ বুখারি: ১৯৬৯)

আব্দুল্লাহ ইবনে আবি কায়স (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাছে অন্যান্য মাসের তুলনায় শাবান মাসে নফল রোজা রাখা বেশি পছন্দনীয় ছিল। তিনি এ মাসে রোজা রেখে তা রমজানের সাথে যুক্ত করতেন। (সুনানে আবু দাউদ: ২১০১)

বিজ্ঞাপন

আরেকটি হাদিস থেকে শাবান মাসের রাসুলের (সা.) বেশি রোজা রাখার কারণও জানা যায়। ওসামা ইবনে জায়েদ (রা.) বলেন, এক দিন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনাকে শাবান মাসে যতো বেশি রোজা রাখতে দেখি অন্য কোন মাসে তো দেখি না, এর রহস্য কী? উত্তরে তিনি বললেন, রজব ও রমজানের মাঝে এ মাস সম্বন্ধে মানুষ উদাসীন, এটা তো সেই মাস; যে মাসে বিশ্ব জাহানের প্রতিপালকের কাছে মানুষের আমলসমূহ পেশ করা হয়। তাই আমি পছন্দ করি যে, রোজা অবস্থায় আমার আমল আল্লাহর কাছে পেশ করা হোক। (সুনানে নাসাঈ: ২৩৫৭)

আল্লাহর রাসুলকে অনুসরণ করে আমাদেরও কর্তব্য এ মাসে বেশি বেশি রোজা রাখার চেষ্টা করা। বিশেষত আইয়ামে বিজের রোজা অর্থাৎ শাবান মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখা উচিত। প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবারও রোজা রাখা যায়। এগুলো ছিল নবিজির (সা.) সারা বছরের আমল। বছরের অন্যান্য মাসগুলোতে না পারলেও অন্তত এ মাসে এ সুন্নতগুলো পালন করার চেষ্টা করা উচিত; যেন রোজা রাখায় অভ্যস্ততা তৈরি হয় এবং রমজানে রোজা রাখা সহজ হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ওএফএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।