তাহাজ্জুদ আদায়ের সময় সুবহে সাদিক হলে কি ওই নামাজ মাকরুহ হবে?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
সুবহে সাদিক হওয়ার পর দুই রাকাত সুন্নত ছাড়া কোনো নফল নামাজ নেই।

ফজরের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার পর ফজরের দুরাকাত সুন্নত ছাড়া অন্য নফল নামাজ পড়ার ব্যাপারে হাদিসে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এ সময় নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

لَا صَلَاةَ بَعْدَ طُلُوعِ الْفَجْرِ إِلَّا رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ.
সুবহে সাদিক হওয়ার পর দুই রাকাত সুন্নত ছাড়া কোনো নামাজ নেই। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৪৭৫৭)

বিজ্ঞাপন

হাফসা (রা.) বলেন, যখন সুবহে সাদিক হয়ে যেত, তখন রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শুধু ফজরের দুরাকাত সুন্নত সংক্ষেপে (ছোট সুরা দিয়ে) পড়তেন। (সহিহ মুসলিম: ৭২৩)

তাই সুবহে সাদিকের পর ফজরের সুন্নত ছাড়া অন্য কোনো নফল নামাজ শুরু করা উচিত নয়। তবে কেউ যদি সুবহে সাদিকের আগে তাহাজ্জুদের নামাজ শুরু করে, নামাজ শেষ করার আগেই সুবহে সাদিক হয়ে যায়, তাহলে তা বাতিল বা মাকরুহ হবে না।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ফজরের নামাজ পড়ার পর সূর্যোদয় পর্যন্তও নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। অর্থাৎ ফজরের সময় হওয়ার পর থেকে সুর্যোদয় পর্যন্ত কোনো নফল নামাজ পড়া যাবে না, শুধু ফজরের দুরাকাত সুন্নত ও দুরাকাত ফরজ পড়তে হবে। এ ছাড়া আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নফল নামাজ পড়া মাকরুহ।

ওএফএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।